Site icon Daily Dhaka Press

সন্দ্বীপের একজন নারী উদ্যােক্তার গল্প

চট্টগ্রাম ব্যুরো : এক সময় মানুষ মেয়েদের সমাজের নিজের পরিবারের বোঝা মনে করতো। যুগের সাথে সাথে সেই প্রথারও এখন চল উঠে যায় আস্তে আস্তে।

এখন সমাজ পাল্টিয়ে নিয়ে গেছে মেয়েরা সমাজের পরিবারের বোঝা নয় বরং এখন একজন প্রতিষ্ঠিত একজন উদ্যােক্তা বটে।

‘নারী উদ্যোক্তা’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পেছনে রয়েছে নিজের পরিশ্রম এবং এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়। পথে পথে নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হয়েছে তাদের।

তবে কখনই দমে যাননি তারা। অল্প কিছু পুঁজি আর উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পথচলা শুরু করে আজ নিজেরা হয়েছেন সফল।

অন্য নারীদেরও উচিত হবে শুধু শুধু ঘরে বসে না থেকে সংসারের পাশাপাশি কিছু একটা করা। স্বপ্ন, সামান্য পুঁজি আর পরিশ্রম থাকলেই অনেকদূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।

সন্দ্বীপ মৌলভী গোমস্তার বাড়ির মোঃ আনোয়ার হোসেনের ছোট মেয়ে সাথী আক্তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সবার পরিচিত মুখ।

সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে খুব নিবিড় ভাবে জড়িত মানুষের কল্যাণে কাজ করা যেন তার মূল লক্ষ্য। সামাজিক যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে সবার থেকে সহযোগিতা নিয়ে গরিব অসহায় মানুষকে সেবা দিয়ে আসছেন প্রায় ৪ বছর ধরে।

এর পাশাপাশি সে গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যাওয়া পাক্কন পিঠা, শীতের দিনের পাংকিল পিঠা, ঝালের নাড়ু সহ নানান রকমের পিঠা তৈরি করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে কাজে লাগিয়ে তা বিক্রি করার অথাৎ নিজেকে একজন উদ্যােগক্তা হিসাবে গড়ে তুলার চেষ্টা করছে।

তার এই পিঠা দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে ও স্থান পেয়েছে। তার হাতের যেন এক অন্য রকম জাদু। অনেক সুস্বাদুভাবে তৈরি করা হয় তার এই পিঠা।

সবাই তার এমন উদ্যােগে অনেক খুশি কারন তাদের মনে হয় যেন আগের দিন গুলো খুব সহজে ফিরে পায় তার এমন ভিন্ন রকমের উদ্যােগের জন্য।

সাথী আক্তার জানান, অনেক শ্রম, নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আমি নারী উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করছি। প্রথমদিকে তেমন সাড়া না পেলেও এখন আল্লাহর রহমতে অনেক সাড়া পাচ্ছি সবার দোয়াতে।

আমার কাজের পিছনে আমার পরিবারের সহযোগিতা না পেলে এতদূর এগিয়ে যেতে পারতাম না। আগে থেকেই এসব কাজ কিছুটা পারতাম।

তারপর অন্যদের পরামর্শে পরিবারের সহযোগিতায় পিঠা বানানোর কাজ আরও ভালোভাবে শুরু করে দিই।
তিনি জানান, আমার চেষ্টা, ইচ্ছা আর পরিশ্রমের কারণে আজ অনেকটাই এগিয়ে আসতে পেরেছি।

তিন-চার হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলাম। আমাদের দেশের অনেক নারীই ঘরে বসে থাকেন।

তাদের একেকজনকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে হবে। তাহলেই আমরা নারীরা সমাজে মাথা উঁচু করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।

আমি যেহেতু অল্প পুঁজি নিয়ে এতটুকু চেষ্টা করে চলছি, অন্য নারীরাও চেষ্ট করলে পারবেন।

Exit mobile version