Site icon Daily Dhaka Press

চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের আইল্যান্ডে দৃষ্টিনন্দন গাঁদা ফুলের বাগান- পথচারীদের নজর কাঁড়ছে

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম রাঙামাটি মহাসড়ক রাউজানের অংশে দশ কিলোমিটার সড়কের আইল্যান্ডের মাঝখানে দৃষ্টিনন্দন গাঁদা ফুলের বাগান। পাশাপাশি রয়েছে বিদেশি খেজুর গাছ আর সবজি ক্ষেত। এমন সৌন্দর্যময় এখন পথচারীদের নজরকাঁড়ছে।

যে কেউ রাউজানে প্রবেশ করলে মনে হবে একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শহরে ঢুকেছি। হালদা নদী সর্তারঘাট রাউজান-ঢালাই মুখ পর্যন্ত চট্টগ্রাম রাঙামাটি মহাসড়কের আইল্যান্ডের মাঝখানে কমলা ও হলুদ রঙের গাঁদা ফুলের বাগান আর দৃষ্টিনন্দন বিদেশি খেজুর গাছ সৌন্দর্যের আলো ছড়াচ্ছে।

পথচারীরা দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগানের পাশে দাঁড়িয়ে ও আইল্যান্ডে বসিয়ে তোলছে ছবি আর সেলফি। এই সৌন্দর্যবর্ধন পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন রাউজানের সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী। তিনি পিংক,গ্রিন,ক্লিন রাউজানে রূপান্তরিত করেন।

জানা যায়, ফজলে করিম চৌধুরী রাঙামাটি মহাসড়কের আইল্যান্ডে এক হাজার বিদেশি খেজুর গাছ রোপন করেন। গাছের পরিচর্যা করেন পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা।

আইল্যান্ডে গাঁদা ফুলের বাগান করেছেন পৌর আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন, মোরশেদুল আলম, আলহাজ্ব নুরুল আমিন।তাঁরা তিন জনের উদ্যোগে চার কিলোমিটার সড়কে রোপণ করা হয়েছে গাঁদা ফুল।

সালাউদ্দিন বলেন,চট্টগ্রাম রাঙামাটি মহাসড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে মানুষের রুচিতে পরিবর্তন আনতে চাই। তাই চট্টগ্রাম রাঙামাটি মহাসড়কের রাউজান অংশে সাড়ে ১৩ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাঁদা ফুলের চার রোপন করেছি। প্রায় চার লাখ টাকার খরচ হয়েছে।

সাড়ে ১৩ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাঁদা ফুলের পাঁচ লাখ ফুলফুটেছে।বাগান পরিচর্যা জন্য রাখা হয়েছে শ্রমিক। মোরশেদ বলেন, মানুষের চিন্তাচেতনার পরিবর্তন ঘটাতে আইল্যান্ডের মাঝখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাঁদা ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। ঝাঁকে ঝাঁকে ফুটেছে ফুল, দেখতেও ভালো লাগে।

এই সড়কের সৌন্দর্য এখন পথচারী ও যাত্রীদের নজরকাঁড়ছে।তিনি আরো জানান, সড়কের ফুল যাতে কেউ না ছিঁড়ে সে জন্য সাইনবোর্ড দিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পথচারীরা জানান,এমন সৌন্দর্যময় ফুলের বাগান দেখেই মুগ্ধ তাঁরা।
এছাড়াও রাউজানের সরকারি- বেসরকারি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের বাগান আর ফলের বাগানও।

Exit mobile version