
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা -২০ ধামরাই আসনে জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে ‘ কাঁচি ‘ প্রতীকের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেন।
বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে থেকে জানা যায়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ভোট প্রার্থনা করে চলছেন তিনি।
দলীয় কোন বাঁধা না থাকায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে সংসদ সদস্য হওয়ার আশায় ভোটের মাঠে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব বেনজীর আহমদসহ ৬ জন প্রার্থীর সাথে ভোটের লড়াইয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন মোহাদ্দেছ হোসেন।
তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্র লীগসহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মোহাদ্দেছ হোসেনের পক্ষে কাজ করছেন।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেন বলেন, আমার নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। নৌকা প্রতীকের সমর্থক উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন অলরেডি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হুমকি দিয়েছেন।
কি করে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে কে এজেন্ট দেয় তা দেখে নিবেন। মনগড়া, উল্টা পাল্টা বক্তব্য, ভয়ভীতি ও গুজব ছড়িয়ে আমার জনপ্রিয়তা কমানোর চেষ্টা করছেন।
কিন্তু সাধারণ জনগণ সবই বুঝেন। আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, আমি সাধারণ জনগণের সাথে ছিলাম আছি এবং থাকবো। সব সময় উন্নয়নের পক্ষে কাজ করেছি।
এইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অংশগ্রহণ করবো বলে জানান স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন কে বা কারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে এজেন্ট দিবে তা দেখে নিবেন।
এর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান মোহাদ্দেছ হোসেনের সমর্থক সাবেক ধামরাই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব।
জানা যায়, স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেন ছাত্র জীবনেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৮৫ সালে প্রথম ধামরাই সরকারি কলেজের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এরপর ধামরাই হার্ডিঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন দির্ঘদিন।
এরপর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, লায়ন আশরাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে এখনো দ্বায়িত্ব পালন করছেন। পরে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন বিপুল ভোটে। সর্বশেষ তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে এইবার স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হয়ে ‘ কাঁচি ‘ প্রতীকে নির্বাচন করছেন।
তিনি এখনো উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এ পর্যন্ত সকল নির্বাচনেই বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানা যায়।