Site icon Daily Dhaka Press

গেইম চেইঞ্জার !

রিফাত কান্তি সেন: খেলার মাঠে যিনি নিশ্চিত হারের কাছ থেকে দলকে জিতিয়ে দিতে পারেন তাকে বলা হয় গেইম চেঞ্জার, ঠিক রাজনীতির মাঠেও যিনি ঘোল পালটে দিতে পারেন তিনি বনে যান গেইম চেঞ্জার হিসাবে।

ভোটের হিসেব কষা চারটিখানি কথা নয়। মানুষের মন জয় করাতো আরো বেশী কষ্টের। মানুষকে যিনি ভালবাসতে পারেন, কাছে টানতে পারেন তিনিই তো রাজনীতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে নাম লিখান।

জাহিদুল ইসলাম রোমান, সাবেক ছাত্রনেতা, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান। স্বপ্ন ছিল সংসদ নির্বাচন করে এমপি হয়ে সংসদে যাওয়ার। স্বপ্নটা বড় বলেই হয়তো তার পথ চলার ভঙ্গিমাটাও ভিন্ন ছিল।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে রাজনীতির মাঠে নিজেকে চেনাতে চেয়েছিলেন ভিন্নরূপে।

ভাগ্য সু-প্রসন্ন নয় বলে এ যাত্রায় মেলেনি নৌকার টিকেট। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নও কিনেছিলেন।

কিন্তু নৌকার আদর্শকে যিনি লালন ও ধারণ করেন তিনি কি করে নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে গিয়ে কাজ করবেন। যার রক্ত-ধমনীতে প্রবাহমান বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।

আর সেই আদর্শের প্রতীকের বাইরে নয়, তিনি নৌকার জন্যই কাজ করতে চান। চাঁদপুর -৪ (ফরিদগঞ্জ) ২৬৩ আসনে নৌকার টিকেট পেয়েছিলেন সাংবাদিক মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।

রোমান নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েই নেমে পড়েন মাঠে। চষে বেড়ান ফরিদগঞ্জের অলিগলি।

নৌকার পক্ষে জোরালো প্রচার আর নকশার কারিগর হিসেবেই যেন আখ্যায়িত হন তিনি। সেই সকাল-সন্ধ্যা ভোটারের দ্বারে দ্বারে ঘুরে নৌকাকে জেতানোর চেষ্টা।

নৌকার বিপক্ষ প্রার্থীরা হেভিওয়েট হলেও রোমানের রাজনীতির ভেলকি বুঝতে সক্ষম হননি। চারিদিকে যখন সবাই ভেবেই নিয়েছিলো এ যাত্রায় বোধয় আসনটিতে নতুন কেউ আসছে, নৌকার পরাজয় সন্নিকটে তখন যেন গেইম চেঞ্জার রূপে অবতীর্ণ হলেন তিনি।

রাজনীতির মাঠকে যেন পালটে দিলেন মুহুর্তেই। জয়কে কিভাবে উদযাপন করতে হয়, আদর্শকে বিকিয়ে রাজনীতি নয়, নৌকার প্রতি ভালবাসার উদার দৃষ্টি আর ভোটের মাঠে ওয়েল ফিনিশারের ভূমিকা যেন তার ভক্ত-সমর্থকদের কাছে গেইম চেঞ্জার বিশেষণে বিশেষিত হওয়ার মতই।

Exit mobile version