আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভয়াবহ সহিংসতা শুরু হয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে। একদিকে লাইভ শো চলাকালীনই একটি টেলিভিশন চ্যানেলের স্টুডিওতে ঢুকে সবাইকে বন্দি করছে বন্দুকধারী সন্ত্রাসীরা।
অন্যদিকে দেশজুড়ে সংঘর্ষ, হামলা এবং বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে মিলিটারি অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা এপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার ইকুয়েডরের একটি স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল টিসি-তে লাইভ শো চলাকালীন হঠাৎ স্টুডিওতে ঢুকে পড়ে মাস্কপরা বেশ কয়েকজন বন্দুকধারী এবং অতিথি ও চ্যানেলটির কর্মীদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাদের বন্দি করে।
এ সময় শো-এর উপস্থাপককে হাতজোড় করে আবেদন করতে শোনা যায়, ‘প্লিজ আমাদের মারবেন না, গুলি করবেন না’। একপর্যায়ে গুলির শব্দে বন্ধ হয়ে যায় সম্প্রচার।
এই ঘটনার প্রায় আধা ঘণ্টা পর পুলিশ সদস্যদের ওই স্টুডিওতে ঢুকতে দেখা যায়।পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সন্দেহভাজন সন্ত্রসীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং টেলিভিশন স্টেশন থেকে কর্মীদের সরিয়ে আনা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঘটনায় কেউ নিহত হয়নি এবং মোট ১৩ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইকুয়েডরের কুখ্যাত লস চোনেরোস গ্যাংয়ের প্রধান অ্যাডলফো ম্যাকিয়াস জেল থেকে পালিয়ে যায় এবং কমপক্ষে ৭ পুলিশ সদস্যকে অপহরণ করা হয়। তারপর দেশটি জুড়ে ব্যাপক সংঘর্ষ, হামলা এবং বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার একটি ডিক্রি জারি করে মিলিটারি অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া।
ডিক্রিতে এই অভিযানকে একটি অভ্যন্তরীণ ‘সশস্ত্র সংঘর্ষ’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং লস চোনেরোসসহ প্রায় দুই ডজন গ্যাংকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।
প্রকাশক : মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তালুকদার
সম্পাদক : খান মোহাম্মদ সালেক
Copyright © 2025 Daily Dhaka Press. All rights reserved.