মোফাজ্জল হোসেন, দুর্গাপুর (রাজশাহী): রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা চত্তরে কয়েকজন কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে দেখা হয় ফাতেমা বেগম (৬০) ও তার স্বামী সিরাজ (৭৫) এর সাথে। শরীরে শীত নিবারণের কোনো কাপড় নেই। প্রচন্ড ঠান্ডাতে কাঁপছিলেন তারা।
পরনে ময়লাযুক্ত শাড়ি আর ছেঁড়া পাতলা চাদর। এমতাবস্থায় ১জন সাংবাদিক তাদেরকে কাছে ডেকে তাদের দুজনের সাথে কথা বলছিলো। কাছে এলে দেখা যায়, ফাতেমা বেগমের একটা চোখ নেই ১ চোখে দেখতে পান না।
ফাতেমা বেগমের গ্রামের বাড়ি উপজেলার তরিপতপুর। আপনজন বলতে শুধু তাঁর স্বামী আছে। শীতের কোনো পোশাক আছে কিনা জানতে চাইলে ফাতেমা বেগম বলেন, আমরা ভিক্ষা করে জীবন চালায় শীতের কাপড় কিনতে টেকা পাবো কয় এই একটাই কাপুড় আছে। শীতের আর কোনো কাপুড় নাই। ঠান্ডা লাগলে কি আর করবো।
সন্ধে রাত্তিরি আগুন জ্বেলে গা গরম করি। তারপর সুতে যায়। আগে শীত আসলে কম্বল পেতাম এবার তাও পাই না- এবার একটা খেতা (কাঁথা) কম্বলও পাইনি। এক কাপুড়ে শীত যায় না, কেউ কাপুড়ও দিতেও আসে না বেডা। আগে শীত এলে কাপুড় পেতাম এখন তাও পাই না। কাপুড় কেনার টেকা নাই। অনেক কষ্ট হয় শীতে।
কোন রকম মানবতার জীবনযাপন করছেন তারা। স্থানীয় একজন ক্ষুদ্র মুদি ব্যবসায়ী জানান, এই এলাকায় এবার তেমন একটা কম্বল বিতরণ হয়নি। তাই কনকনে ঠান্ডায় সমস্যায় পড়েছেন গরিব মানুষ গুলো।
দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শুধু ফাতেমা বেগমই নয়, হাড়কাঁপানো এই শীতে গরম কাপড় না থাকায় কষ্ট পাচ্ছেন হতদরিদ্র ও অক্ষম মানুষ গুলো। গরম কাপড় কেনার সাধ্য নেই তাঁদের।
হাত পেতে দু-একটা কাপড় পাওয়া গেলেও মিলছে না শীত নিবারণের কাপড়। এবার শীতে কম্বল কম বিতরণের বিষয়টি নজরে এসেছে স্থানীয়দেরও। তাঁরা জানান, এবার শীত বেশি হলেও কম্বল বিতরণ চোখে পড়ছে না। তবে এই কনকনে ঠান্ডায় কয়েকদিনে এই উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা যায়নি, উপজেলা প্রশাসনসহ কোন প্রকারের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে।
প্রকাশক : মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তালুকদার
সম্পাদক : খান মোহাম্মদ সালেক
Copyright © 2025 Daily Dhaka Press. All rights reserved.