যশোর: যশোরে শীতের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ভোর থেকে সকল ৯টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টির পড়তে থাকে। এরপরে শুরু হয় থেমে থেমে বৃষ্টিপাত।
শীতের মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টিতে মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ছেদ পড়েছে। বৃষ্টিতে কর্মজীবীসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়ে গেছে।
যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমানঘাঁটির আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এদিন জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ২০মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
গত কয়েক দিনের শীতে কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না তারা। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে অনেককে।
প্রচণ্ড শীতের মাঝেও নিম্নআয়ের মানুষের জীবিকা সন্ধানের চেষ্টা করছেন। রিকশাচালক রমজাল আলী বলেন, এ শীতে হাত-পা সব কালা হয়ে যাচ্ছে। রিকশার হ্যান্ডেল ধরে রাখা যাচ্ছে না। গতকালের শীতের চেয়ে আজ বৃষ্টির কারণে বাইরে লোকজন কম হওয়ায় ভাড়া পাচ্ছি না। শীত নিবারণের জন্য পর্যাপ্ত কাপড় না থাকায় আগুন পোহায়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছি।
যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী আহসান আব্দুল্লাহ লাবিন বলেন, শীতে বাইরে চলাচল করা যাচ্ছে না। তারপরও ভোর থেকে আবার বৃষ্টি পড়ছে। এরপরেও আমাদের কোচিং প্রাইভেট চালু আছে, তাই বাধ্য হয়ে বাইরে বেরিয়েছি।
জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিজিবুল ইসলাম বলেন, জেলার অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য ৬১ হাজার কম্বল বরাদ্দ ছিল, তার মধ্যে ৫৫ হাজার কম্বল বিতরণ হয়েছে। এছাড়াও আরও ৭৫ হাজার কম্বলের চাহিদার কথা কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
ডেইলি ঢাকা প্রেস/আরআর/ ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪
প্রকাশক : মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তালুকদার
সম্পাদক : খান মোহাম্মদ সালেক
Copyright © 2025 Daily Dhaka Press. All rights reserved.