Daily Dhaka Press

কনকনে শীতে বিপর্যস্ত সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জ: তীব্র শীতে কাঁপছে সিরাজগঞ্জ শহর। ঘন কুয়াশা ও উত্তরের ঠান্ডা বাতাসে হাড়কাঁপানো শীতে যমুনা পাড়ের জেলা সিরাজগঞ্জে জেঁকে বসেছে শীতের তীব্রতা। হিমশীতল বাতাস কনকনে শীত আর সূর্যের দেখা না মেলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জের মানুষের জনজীবন।

আজও কুয়াশার চাদরে ঢাকা রয়েছে পুরো সিরাজগঞ্জ। যার ফলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।

তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় সিরাজগঞ্জের মোট ১৬৭১টি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মোট ৫৮৪টি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৬টা ও ৯টায় সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সিরাজগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

আজ ভোর থেকেই কুয়াশায় ঢাকা পড়ে আছে সিরাজগঞ্জের পথঘাট। দশ হাত পর পর কোনো কিছু দেখা যাচ্ছে না। সড়কগুলোতে দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহগুলো চলাচল করছে।

সকাল ১০টা পর্যন্ত কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। এ কারণে কনকন শীতে শীতে জবুথবু থাকতে হচ্ছে। সবচেয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষরা।

রিকশাচালক রমজান আলী বলেন, শীতে যতই কষ্ট হোক, রিকশাতো চালাইতেই হইবো। ঘরে বউ-ছওয়ালপাল (স্ত্রী-সন্তানরা) আছে। কাম (কাজ) কইর‌্যা (করে) বাজার না নিয়্যা (নিয়ে) গেলে সবাইকে না খাইয়া থাইকতে অইবো (হবে)। আবার জমার ট্যাহাও (টাকা) দিতে অইবো।

রিকশা চালকরা জানান, কুয়াশা আর প্রচণ্ড শীতে হাত-পা জমে যাচ্ছে তাদের। যার কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে তাদের। কিছুক্ষণ রিকশা চালানোর পরই শীতে হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করছেন সবাই।

বাঘাবাড়ি প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, সকাল ৬টা ও ৯টায় এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আট থেকে দশের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। ফলে আজ মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে।

তিনি বলেন, আকাশে সূর্য থাকলেও কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও মিলতে পারে।

সিরাজগঞ্জের জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. আফসার আলী বলেন, জেলায় কয়েকদিন হলোই তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে রয়েছে।

এতে ছোট ছেলেমেয়েদের খুব কষ্ট হয়। যেহেতু তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা আছে তাই জেলার মাধ্যমিক স্তরের সর্বমোট ৫৮৪টি (দাখিল মাদরাসাসহ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস আগামীকাল ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরাও স্বস্তিতে রয়েছেন।

 

ডেইলি ঢাকা প্রেস/আরআর/ ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

Exit mobile version