কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা লতিবাবাদ (ডুবাইল) গাইটালস্থ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মোঃ আবু ছিদ্দিক ৭০ শতাংশ জমির মালিক হওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং অবসরের পরপরই ১৫২ জন বিবাদী করে পৈতৃক সম্পত্তি দাবী করে যে মামলা করে এতে ৩০০ পরিবারের মধ্যে শুরু হয়েছে আগ্রাসী মনোভাব।
এদিকে আবু ছিদ্দিক জানান পৈতৃক সম্পদ উদ্ধারে আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। ৭০ শতাংশ ভূমির মধ্যে ৩৮ শতাংশ ভূমি আমার বাবা দিয়েছেন, বোন দিয়েছেন ১৩ শতাংশ, অবশিষ্ট অংশ আমার ক্রয় করা।
সরেজমিনে জানা যায় কিশোরগঞ্জ গাইটালস্থ ডুবাইল এলাকায় একই এলাকায় বসবাসকারী আবু ছিদ্দিকসহ বিবাদী হাছনা বেগম, সিরাজ উদ্দিন, রফিকুল ইসলামসহ ১৫২ জন বিবাদী করে সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ৪৭৭/২০২৩ সন অন্য মোকদ্দমায় ৮৬ জন বিবাদী, ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে ৪৯৩৫/২০১৫ ল্যান্ড সার্ভে মোকদ্দমায় ৭ জন, সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ৪৪৯/২০২৩ অন্য মোকদ্দমায় ৫৯ জন বিবাদীর মধ্যে মোঃ হুমায়ুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমার বাবা মারা যাওয়ার পরে আমরা ভাইবোনেরা ব্যবসা বাণিজ্য করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছিলাম।
আবু ছিদ্দিকের দাদা পূর্ব বংশের ভাগিনা ছিলেন। মামা ভাগ্নের মধ্যে ঐ সময় একটি মামলাও হয়েছিল। মামলায় নিষ্পত্তি হয়েছিল প্রায় ৭০ বছর আছে। যদি কোন সম্পদের সমস্যা থাকত ঐ সময়েই সমাধান হয়ে যেত। আবু ছিদ্দিক অত্যন্ত ধূর্ত ও ঘাপটি মারা শত্রুর মত। সে অত্যন্ত সতর্কতার সহিত সরকারি চাকুরীতে থাকাকালীন সময় এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকার সম্পদ ক্রয় করে।
একজন অফিস সহকারী হিসাবে সরকারি চাকুরীতে থাকাকালীন সময়ে সে এত টাকার উৎস কোথায় বর্তমান সময়ে তা জিজ্ঞাসা করার কেউ নেই। তিনি অবসরে যেয়ে আমাদের এলাকায় অর্থাৎ ডুবাইল এলাকায় বসবাসকারী ৫০০ লোকের মধ্যে ৩০০ লোকের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করে দিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন জায়গায় বসে হুমকি দেন যে তার কাছে ৬০ লক্ষ টাকা আছে।
সেখান থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ করলে আমার কিছুই হবে না। আমি তোদেরকে শায়েস্তা করে ছাড়ব। এদিকে আবু ছিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি একজন নিরুপায় মানুষ। কোন জায় ঝামেলাতে আমি যাই না।
সমাজের মধ্যে আমার বিরুদ্ধে একটি কুৎসা রটাচ্ছে হুমায়ুন ও রফিকসহ সকল বিবাদীরা। তারা বিভিন্ন সমাজে বলে বেড়াচ্ছে আমি অবৈধভাবে নাকি সরকারি চাকুরীতে থাকাকালীন সময়ে অবৈধ সম্পদ করেছি।
কিন্তু সম্পদগুলো আমি কিছু কিনেছি আমার বাবাও দিয়েছেন আমার বোনও দিয়েছেন। তন্মধ্যে আমার বাবা দিয়েছেন ৩৪১১ নং দলিল মূলে সাড়ে ১৭ শতাংশ, ৭৬১৮ নং দলিল মূলে ২০ শতাংশ এবং আমার বোনেরা দিয়েছেন ২০১৩ সনে দলিল মূলে সোয়া ১৩ শতাংশ। ক্রয় সূত্রে ৩৫৪ নং দলিল মূলে সোয়া ১৩ শতাংশ ও ৩৭২৮ নং দলিল মূলে সাড়ে ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করে।
তারা আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য বিভিন্ন মহলের কাছে বলে বেড়াচ্ছে যে আমি চাকুরীতে থাকাকালীন সময়ে অবৈধভাবে এই সম্পদ করেছি। যদি অবৈধ কিছু করে থাকতাম তাহলে আমি পেনশনের টাকাও পেতাম না।
আমি চাকুরীতে থাকাকালীন সময়ে ১৬টি স্টেশনে চাকুরী করেছি। অবসরকালীন ভাতা হিসেবে ২৪ লক্ষ টাকা পেয়েছি। আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার পৈতৃক সম্পদ আদায়ের মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য তারা চাপ প্রয়োগ করছে।
আমি দেখেছি এই সম্পদের জন্য আমার বাবা অনেক কষ্ট করেছেন। আমার ভাইবোনসহ ঠিকমত চলতে পারছি না তাদের জন্য। তাই চাকুরী থেকে অবসরে এসে আইনী প্রক্রিয়ায় পৈতৃক সম্পদ উদ্ধার করতে চাই। যদি তাদের কাছে কোন দলিল থাকে আইনী প্রক্রিয়ায় উপস্থাপন করলে উভয় পক্ষের জন্য ভালো হত।
প্রকাশক : মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তালুকদার
সম্পাদক : খান মোহাম্মদ সালেক
Copyright © 2025 Daily Dhaka Press. All rights reserved.