রাজিব রায়হান,জাবি প্রতিনিধি: আগামী ৩১ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের সংগঠন কর্মচারী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ নির্বাচনে ১৩টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রার্থী। সভাপতি পদে ২ জন, সহ-সভাপতি পদে ৩ জন, সাধারণ সম্পাদক ২, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন, কোষাধ্যক্ষ ৪ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১ জন, সমাজকল্যাণ ও ক্রীড়া পদে ২ জন, জনসংযোগ ও প্রচার সম্পাদক পদে ২ জন, মহিলা সম্পাদিকা ২ জন, পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ২ জন ও সদস্য পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
তবে সরেজমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল এলাকা, প্রান্তিক গেট, ইসলামনগর বাজার, কলাবাগান সংলগ্ন জেনারেটর বাজার, বটতলা এলাকা সহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে দেখা গেছে প্রার্থীদের প্রচারণার সাথে যোগ হয়েছে নানানরকম খাবার খাওয়ানো আর একটু সুযোগ পেলেই টাকার বিনিময়ে ভোটের অফার। এছাড়াও মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়ার সাথে টাকার অফারও আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনারেটর এলাকায় সামিয়ানা টানিয়ে অনেক রাত পর্যন্ত চলে আনন্দ উল্লাস।
তবে প্রশ্ন উঠেছে স্বল্প বেতনের এই কর্মচারীরা এত টাকা পাচ্ছেন কোথায় আর কেনইবা এত টাকার ছড়াছড়ি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ একটি সূত্র বলছে, মূলত একেকজন কর্মচারী ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা খরচ করে থাকেন যা পরবর্তীতে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে উঠিয়ে থাকেন।
এদিকে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কর্মচারীরা।
তারা বলছেন, দুই বছর পর এটি আমাদের কাছে একটা উৎসবের মত। এজন্য কেউ কেউ দেখা সাক্ষাতে নাস্তা করাতে পারে তবে টাকার অফারের বিষয়টি সত্য নয়।
এর সাথে যুক্ত হয়েছে এ নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের কর্মচারী খাইরুল ইসলামকে যেতাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের হস্তক্ষেপের অভিযোগ। যদিও এ নিয়ে নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি কেউই।
তাদের সাধারণ বক্তব্যে দেখা যায়, কর্মচারী খাইরুল অস্থায়ী কর্মচারী সহ বিভিন্ন নিয়োগে সিন্ডিকেট পরিচালনা করে। এর সাথে দুই একজন শিক্ষকেরও যোগাযোগ আছে তাই অনৈতিকভাবে তাকে জেতাতে হস্তক্ষেপ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান।
এ নিয়ে অভিযুক্ত খাইরুলকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও আ ফ ম কামালউদ্দীন হলের প্রভোস্ট আ স ম ফিরোজ উল হাসান অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, “আমার আসলে এই অভিযোগ নিয়ে কিছু বলার নেই। আমি তাদেরকে ঠিকভাবে চিনিও না।”
#………
রাজিব রায়হান