Site icon Daily Dhaka Press

জাবিতে ‘অবাঞ্চিত’ সম্পাদকের স্বাক্ষরে হল কমিটি ঘোষণা, সংঘর্ষের আশঙ্কা

রাজিব রায়হান, জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই শতাধিক অনুসারি কর্তৃক অবাঞ্চিত সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের স্বাক্ষরে দুই হলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে।

আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন স্বাক্ষরিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল ও শেখ হাসিনা হলের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটি ঘোষণার পরবর্তীতে দুই কমিটির একাধিক নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে বিষয়টি জানা যায়।

নেতাকর্মীরা জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতির সুষ্ঠু তদন্তের রিপোর্ট না দেওয়ার আগেই তদন্ত চলাকালীন সময়ে এই কমিটি ঘোষণা সংগঠনের নীতি পরিপন্থী।

এর মাধ্যমে অবাঞ্চিত সম্পাদকের সকল অপকর্মকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এমতবস্থায় এহেন কর্মকান্ড নেতাকর্মীদের মধ্যো ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি জমি দখল, নেতাকর্মীর সঙ্গে অশোভন আচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তারই অনুসারীরা।

উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে গত ২৭ জানুয়ারি সুষ্ঠু তদন্তের লক্ষ্যে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে তদন্তরিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া।

তবে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমার আগেই সাধারণ সম্পাদক লিটনের স্বাক্ষরে হল কমিটি দেওয়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নীতি পরিপন্থী ও বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ সংগঠনের ক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংগঠনের এক কর্মী বলেন, এখন যে পরিস্থিতি চলছে তাতে অবশ্যই নতুন নেতৃত্ব লাগবে।

সভাপতি-সম্পাদক তাদের নিজেদের স্বার্থের কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে নেতাকর্মীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক জৈষ্ঠ নেতা বলেন, বর্তমান এই কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ অবৈধ কমিটি। এই অবৈধ কমিটির দেওয়া হল কমিটিও অবৈধ। এটা একটা আইওয়াশ।

শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো। এই হল কমিটি দিয়ে তারা সংগঠনের কিছু বোকা কর্মীদের মুখ বন্ধ রাখতে চায়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, আমরা নিয়ম তান্ত্রিকভাবেই হল কমিটি দিয়েছি। যতদিন কেন্দ্র থেকে কোনো ধরনের দিকনির্দেশনা না আসছে, ততদিন জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লিটনই থাকবে। যে ৬টি হল তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে, সে হলগুলোতে আমরা কমিটি দিব না।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের সাথে কয়েক দফায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

Exit mobile version