জাবি প্রতিনিধি :
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সম্প্রতি সংঘটিত জঘন্যতম ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট সিনেট সদস্যবৃন্দ।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারী) সকাল দশটার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপাচার্য ড. শরীফ এনামুল কবির সহ অন্যান্য রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট সিনেট সদস্যবৃন্দ।
মানববন্ধনে ড. শামসুল আলম সেলিম বলেন, আজ আমরা বিভিন্ন দল মতের সবাই একত্রিত হয়েছি। আমরা চাই নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের দাবি গুলো বাস্তবায়ন হোক। আমরা উপাচার্যকে বলতে চাই সব দায় আপনার উপরেই।
বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হতে হবে। একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধেও তার ব্যাপারে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তাকে কিন্তু এখনো বহিষ্কার করা হয়নি। সাময়িকভাবে বরখাস্তও করা হয়নি।
অবিলম্বে তার ব্যাপারে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক এবং অনুরোধ করবো গণরুম সংস্কৃতি যেসকল হলে রয়েছে সেগুলো যাতে দূর করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দাবি জানাচ্ছি সিন্ডিকেটে তোলা দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হোক।
সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমি জানি কিভাবে ছেলেমেয়েদেরকে আদর সোহাগের মাধ্যমেও শাসনে রাখতে হয়। কিন্তু আপনারা শুধু আদর দিয়ে রাখবেন সেটা আমরা চাই না। এই নিপীড়নদের পক্ষে যারা দাঁড়িয়েছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত।
আশীশ কুমার মজুমদার, আমরা সব সময়ই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা যেনো আর না ঘটে তাই অবিলম্বে বিচার সম্পন্ন করতে হবে। হলে অছাত্ররা অবস্থান করছে আর বৈধ শিক্ষার্থীরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমরা দেখতে চাই ৫ কর্মদিবসের মধ্যে অবৈধ ছাত্ররা হল ছেড়ে দিয়েছে।
ড. শরীফ এনামুল কবির বলেন, আমরা আজ এখানে ধর্ষন ও গণরুমের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করতে এসেছি। আমরা চাই যারা ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের ফাঁসি দেওয়া হোক। হলে ২৫০০ নয়, খুঁজে দেখেন পাঁচ হাজার ছাত্র হলে অবস্থান করছে। অছাত্ররা হলে অবস্থান করে আর বৈধ শিক্ষার্থীরা মানবেতর জীবন যাপন করে।
অবিলম্বে হল থেকে গণরুম উচ্ছেদ করতে হবে। হলের প্রাধ্যক্ষ, ওয়ার্ডেনদের হলে থাকতে হবে। হলে ডাটাবেজ তৈরি করতে হবে। রাতে নির্দিষ্ট সময়ে যেনো ছেলে মেয়েরা ফিরে আসে সে ব্যবস্থা করতে হবে। হলের পাশের দোকান উচ্ছেদ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কেনো দোকানের টাকায় চলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অটো রিকশা বন্ধ করা হোক।
উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি আমাদের (সিনেটর) ভোটে নির্বাচিত উপাচার্য। আপনি কেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ভয় পান। আমরা আপনার সাথে আছি।আপনি মনে রাখবেন পাঁচ দিন মানে পাঁচ দিনই ।
এরপরে যেম একজন অছাত্র, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, বহিরাগত যেন আবাসিক হলে স্থান না পায়। ২১ টা হলের প্রভোস্ট একসঙ্গে যদি তাদের হলে অভিযান পরিচালনা করেন তাহলে কোন অবৈধ শিক্ষার্থীর সাহস নেই তাদের সামনে দাঁড়ানোর।