
নিজস্ব সংবাদদাতা: সরকার চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর আমদানির ওপর শুল্ক কমিয়েছে। খাদ্যপণ্য আমদানির ওপর সরকার ৫ শতাংশ রাজস্ব কর হ্রাস করেছে। কিন্তু দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে তার কোনো প্রভাব নেই। উল্টো কমার পরিবর্তে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে লিটারে দুই টাকার কাছাকাছি, পেঁয়াজের দামও আগের মতোই অস্থির।
কিন্তু মূল্য পরিস্থিতি ভোক্তার কাঙ্ক্ষিত নাগালের কাছে–মধ্যেই আসছে না। ভরা মৌসুমের মধ্যে একদিকে চালের ঊর্ধ্বমূল্য, অন্যদিকে শীতকালীন শাক–সবজির ভালো উৎপাদনের মধ্যে এসবের মূল্য সাধারণের ক্রয়-ক্ষমতাকে সদম্ভে বৃদ্ধাঙ্গগুলি দেখিয়ে যাচ্ছে।
আইন প্রয়োগে শিথিলতা ও স্থানীয় প্রশাসনের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারনে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বারবার পেয়াঁজসহ নিত্যপণ্যের বাজারে কারসাজি, মজুত ও অতিমুনাফাসহ নানা কারসাজি করছেন।
একবার পেয়াঁজ, একবার আলু, একবার আদা-মসলা, আরেকবার স্যালাইন আবার ডাবের মতো পণ্য নিয়ে কারসাজি করে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। বারবার ব্যহত হচ্ছে।
১৩ ফেব্রয়ারি ২০২৪ইং ক্যাব চট্টগ্রামের উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ও সিন্ডিকেট কারসাজি বন্ধের দাবিতে রিকসা মিছিল ও মানব বন্ধনে ক্যাব চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উক্ত মন্তব্য করেন।
বক্তারা বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশে মূল্যছাড় হলেও বাংলাদেশে তার বিপরীত। একশ্রেণীর ব্যবসায়ীর যুক্তি রমজানে একমাস ব্যবসা করবে, ১১ মাস বসে থাকবো। সেকারনে রমাজান মাসে মৌসুমীর ব্যবসায়ীর ছাড়াছড়ি, আর হাত বদল হলেই লাভের অংক বাড়ে।
কোন প্রকার কাগজপত্র ছাড়া আমদানিকারকের কমিশন এজেন্ট, আড়তদার পরিচয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আলু, পেঁয়াজসহ ভোগ্যপণ্যের মুজত ও কৃত্রিম সংকট তৈরী করে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্ঠি করছেন। দেশের চাহিদার সিংহভাগ দেশীয় উৎপাদন দিয়ে মেটানো সম্ভব হলেও ব্যবসায়ীরা আমদানিকৃত পেঁয়াজ-আলু বিক্রিতে স্বাচ্ছ্যন্দ।
২০১৯ সালেও এ সমস্ত ব্যবসায়ীরা একই কায়দায় পেয়াঁজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিলো। এবারও তারা একই কায়দায় ক্রেতাদের পকেট কাটছে। প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলেই ধর্মঘটসহ নানা হুমকি প্রদান করছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন মানুষের জনদুর্ভোগ লাগবে কার্যকরী ও বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে ভ্রাম্যমান আদালত, সমন্বিত বাজার তদারকি কার্যক্রম উদ্ভাবনী মডেল হলেও বর্তমানে সেটাকে অকার্যকর করতে নানা চক্রান্ত চলছে।
গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ী খাদ্য সিন্ডিকেট করে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছেন। এখন সময় এসেছে জনগনকে সংগঠিত হয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় টিসিবি ও খাদ্যবিভাগের ওএমএস এর পণ্য সংগ্রেহে লম্বা লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে রীতিমতো যুদ্ধে লিপ্ত। ব্যবসায়ীরা মুক্ত বাজার অর্থনীতির নামে একবার পেঁয়াজ, একবার চাল, একবার মসলা, একবার সয়াবিন এভাবে পুরো বছর জুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরী করে জনগনের পকেট কাটছে বলে বলেছেন।