Site icon Daily Dhaka Press

২১ কিলো ম্যারাথনে একুশের শহীদদের শ্রদ্ধা ইবির মানিকের

ইবি প্রতিনিধি: ২১ শে ফেব্রুয়ারী মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বাঙালি জাতির জীবনে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকার রাজপথ সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, কিশোর অহিউল্লাহের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম মাতৃভাষা বাংলার স্বীকৃতি। বাঙ্গালী জাতি পেয়েছিল তার মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার।

প্রতিবছর তাই ২১ শে ফেব্রুয়ারি পালিত হয় যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে। একুশের প্রথম প্রহরে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং প্রভাত ফেরি যার অন্যতম অংশ। সমগ্র জাতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করে বীর ভাষা শহিদদের।

এরই ধারাবাহিকতায় এবার অমর একুশে স্মরণে ২১ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মানিক রহমান।

এদিন শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা অর্পনের পরপরই ভোর ৪:০১ মিনিটে দৌড় শুরু করে ২ ঘন্টা ১০ মিনিট ২০ সেকেন্ডে ২১ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড়ে সকাল ৬:১১ টায় কুষ্টিয়ার কে.এন.বি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের সামনে পৌঁছান মানিক।

মানিক জানান, ভাষা শহিদদের স্মরণে একুশের প্রথম প্রহরে শহিদ মিনারে ফুল দেওয়ার পরই আমি রুমে যেয়ে ম্যারাথন দৌড়ের প্রস্তুতি নেই। এরপর ঠিক ভোর ৪:০১ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট থেকে দৌড় শুরু করি। দীর্ঘ ২ ঘন্টা ১০ মিনিট দৌড়ে কুষ্টিয়ার বটতৈল সংলগ্ন এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের সামনে দৌড় সমাপ্ত করি।

অনুভূতি জানিয়ে মানিক বলেন, টগবগে তরুণদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা মাতৃভাষা বাংলার অধিকার পেয়েছি। এই দিনটি আমাদের ভাষা, সাহিত্য সংস্কৃতিসহ জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সর্বস্তরে এদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। কিন্তু আমি চেয়েছিলাম ভাষা শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া দিবসটি ভিন্নভাবে উৎযাপন করতে। সেজন্যই আমার এই উদ্যোগ। নিশী রাতে নিঃশব্দে দৌড়ে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর অনুভূতি টা একেবারেই ভিন্নরকম।

Exit mobile version