আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশ দূতাবাস, ওয়ারশ, পোল্যান্ড-এ যথাযোগ্য মর্যাদায় 'মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪' পালন করা হয়। দুতাবাস শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান দুই পর্বে বিভক্ত করে পালন করা হয়।

প্রথম পর্বে ২১ ফেব্রুয়ারি প্রত্যুষে দুতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে কাউন্সেলর ও চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স জনাব কাজী মুনতাসীর মুর্শেদ জাতীয় পতাকা অর্ধনির্মিত করেন।

দ্বিতীয় পর্বের শুরুতেই দূতাবাসে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত শহিদ মিনারে কাউন্সেলর ও চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স দূতাবাসের পক্ষ থেকে শ্রদ্বার্ঘ অর্পণ করেন। পরবর্তীতে গোল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী ও বিভিন্ন দূতাবাসের কুটনৈতিকণণ শহিদ মিনারে তাঁদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শহিদ মিনারে পুষ্প স্তবক অর্পন এর মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরজান থেকে তেলওয়াত করা হয়। পরবর্তীতে ধারাবাহিক ভাবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত প্রামাণ্য চিত্র "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও ভাষা আন্দোলন' প্রদর্শন, এক মিনিট নীরবতা পালন এবং শহীদ দিবসের তাৎপর্যের উপর বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় আলোচকগণ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবদের পটভূমি ও সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহারের বিষয়টি তুলে ধরেন।

ফাউন্সেলর ও চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স জনাব কার্জী মুনতাসীর মুর্শেদ তাঁর সমাপনী বক্তব্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং তিনি প্রবাসী বাংলাদেশী শিশু- কিশোরদের স্থানীয় ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষা শিক্ষা দেওয়ার বিষয়ে উপস্থিত সকলকে অনুরোধ করেন।

অলোচনা অনুষ্ঠানের শেষে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সকল শহিদ, মাহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্য এবং বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

সবশেষে উপস্থিত অতিথিদের নৈশভোজ আপ্যায়ন এর মাধ্যমে দূতাবাস কর্তৃক শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আয়োজনের সমাপ্তি করা হয়।