Site icon Daily Dhaka Press

ভিকারুননিসা নূনের শিক্ষকদের কোচিং-প্রাইভেট বন্ধের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকেরা কোচিং-প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। পড়ালে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ মঙ্গলবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি এ নির্দেশ দিয়েছে।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আপাতত শিক্ষকদের সব ধরনের কোচিং-প্রাইভেট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি এই নির্দেশ অমান্য করেন, তাহলে সরকারি বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী কতটুকু পড়ানো যাবে, কী কী করা যাবে, সেটি দেখা হবে।

ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করার অভিযোগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ক্যাম্পাসের এক জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তারের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট পরিস্থিতির মধ্যে ঢাকার খ্যাতনামা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের কোচিং ও প্রাইভেট বন্ধের নির্দেশ দিল।

অভিভাবক ও ছাত্রীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কোচিংয়ে পড়ানোর সময় ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করতেন। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে গতকাল সোমবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া এই ঘটনায় মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মধ্যরাতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাঁর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১২ সালের আগস্টে ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং-বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা’ করে। ওই নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসার কোনো শিক্ষক তাঁর নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে বা প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। এমনকি শিক্ষকেরা বাণিজ্যিক কোচিং সেন্টারেও পড়াতে পারবেন না।

তবে দিনে অন্য প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ১০ শিক্ষার্থীকে নিজ বাসায় পড়াতে পারবেন। আর সরকারনির্ধারিত টাকার বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানের ভেতরই পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ক্লাস করানো যাবে। এ জন্য কাউকে বাধ্য করা যাবে না। তবে কাগজে এই নীতিমালা থাকলেও সারা দেশের বহু শিক্ষক নীতিমালা উপেক্ষা করে প্রাইভেট ও কোচিংয়ে পড়াচ্ছেন। এ বিষয়ে কোনো তদারকিও দেখা যায় না।

Exit mobile version