শনিবার দুপুরে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (গ্রেড-১) (কাস্টমস নীতি) জনাব মোঃ মাসুদ সাদিক ও সদস্য (কর নীতি) জনাব একেএম বদিউল আলম।
এছাড়াও সভায় জনাব সৈয়দ জাকির হোসেন, কর কমিশনার, কর অঞ্চল, সিলেট, মুহাম্মদ রাশেদুল আলম, কমিশনার (চঃদাঃ), কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেট, দি সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধি, সিলেট জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভাটি দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি জনাব তাহমিন আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সিনিয়র সহ সভাপতি জনাব ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ।
বিশেষ অতিথিগণ জাতীয় উন্নয়নে কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর এর ভূমিকা উল্লেখ করে এক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের গৃহীত সাম্প্রতিক কার্যক্রমসমূহ তুলে ধরেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাগণ উন্নয়ন ও রাজস্ব সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারণা উপস্থাপন করেন।
এরপর প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যের শুরুতে উল্লেখ করেন যে, জাতীয় বাজেটে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবনাগুলো প্রতিবছরই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য বান্ধব বাজেট প্রণয়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে। দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিসহ সারাদেশের ব্যবসায়ীমহলের নিকট হতে প্রাপ্ত উপযুক্ত প্রস্তাবনাসমূহ যথাযথভাবে বিবেচনার আশ্বাস প্রদান করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান।
দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি জনাব তাহমিন আহমদ বলেন, জাতীয় বাজেট ঘোষণার প্রাক্কালে ব্যবসায়ী মহলের সাথে মিলিত হওয়া ব্যবসা বান্ধব বাজেট প্রণয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে যেসব বৃহৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন তা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে রাজস্ব আহরণের বিকল্প নেই। তবে চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখাও একান্ত প্রয়োজন। করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লক্ষ টাকা নির্ধারণ, ট্রেড লাইসেন্স নতুন/নবায়নের ক্ষেত্রে অগ্রিম কর প্রদান রহিতকরণসহ বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন চেম্বার সভাপতি।
তিনি আরো বলেন, কয়লাসহ যেকোন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারকগণ অগ্রিম শুল্ক-কর পরিশোধ করে থাকেন, কিন্তু কোনো কারণে পণ্য আমদানি না হলে সরকারি কোষাগারে জমাকৃত অর্থ ফেরত পেতে আমদানিকারকগণকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়, তাই কয়লাসহ যেকোনো পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে অগ্রিম শুল্ক-করাদি পরিশোধের বিধান রহিত করা প্রয়োজন।