Site icon Daily Dhaka Press

ইবিতে সাইন্স ক্লাবের উদ্যোগে সাইন্স ফেস্ট

ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাইন্স ক্লাবের উদ্যোগে প্রথম বারের মতো জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। বিজ্ঞানের সৌন্দর্যকে উপস্থাপন ও বিজ্ঞানের বিশালতাকে উপলব্ধি করার লক্ষ্যে আয়োজিত ফেস্টে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, গোপালগঞ্জ এবং পাবনা জেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভবনের ১৪০ নম্বর কক্ষে সকাল ১০ টায় এই ফেস্টের উদ্বোধন হয়। ফেস্টটিতে জুনিয়র (ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণি), মাধ্যমিক (নবম-দশম শ্রেণি) ও উচ্চ মাধ্যমিক (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি) বিভাগে ভাগ করা হয়। আসরে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, স্পিড কিউবিং ও ট্রেজার হান্টসহ বেশকিছু ইভেন্ট ছিল।

ফেস্টের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো: ইনজামুল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শরিফ মোঃ আল-রেজা, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম ও বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোছাঃ কামরুন্নাহার।

অলিম্পিয়াডে অংশ নেয়া ঝিনাইদহ কালেক্টরেট স্কুলের শিক্ষার্থী নাজমুস সাদাত জানান, আমরা প্রথমবারের মতো বিজ্ঞান ফেস্টে অংশ নিয়েছি। এখানে আসতে পারায় সুন্দর একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়া নিজেকে আলাদাভাবে যাচাই করার একটি মাধ্যম বলে আমি মনে করি। এমন আয়োজন করায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।

জীববিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজে বিভিন্ন সময় এধরণের আয়োজন হয়ে থাকে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একধরনের বিজ্ঞানমনস্ক প্রতিযোগিতা তৈরী হয়।

তাছাড়া এধরনের প্রতিযোগিতার ফলে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান সম্পর্কে অনেক নতুন নতুন ধারণা পেয়ে থাকে। আমি চাই এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাইন্স ক্লাব এমন আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যাক। তাদের এই আয়োজন সত্যিই প্রসংশার দাবীদার।

বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোছাঃ কামরুন্নাহার বলেন, এখানে উপস্থিত প্রতিজন প্রতিযোগি একেকজন ফুলের ন্যায়। ফুল প্রস্ফুটিত হলে যেমন সুবাশ ছড়িয়ে যায় তেমনি আজকে অংশগ্রহণকারীরা একদিন দেশের সবত্র ছড়িয়ে যাবে এবং বিজ্ঞান গবেষণায় ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী। আজকের বাচ্চারা বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে বেড়ে উঠুক এবং শিল্পবিপ্লবে অংশ নিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করুক, এটাই প্রত্যাশা।

পরবর্তীতে, ফেস্টের প্রতিটি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হওয়ার পর বিজয়ীদের মধ্যে ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

Exit mobile version