রিফাত কান্তি সেন : অবশেষে উৎপাদনে ফিরেছে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি প্রায় ১৪ মাস বন্ধ ছিল। এরইমধ্যে কয়েক দফায় মেরামত করেও তা আর চালু করা যায়নি।
একপর্যায়ে গ্যাস সরবরাহের যন্ত্রাংশে ত্রুটি ধরা পড়ে। ফলে উৎপাদন না হওয়ায় বন্ধ থাকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ। তবে নতুন যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন এবং দেশি ও বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় প্রাণ ফিরে পায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।
নির্ধারিত সময়ে গ্যাস বুস্টারের যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তারপর চালু করার উদ্যোগ। কিন্তু অন্য জায়গায় আরো কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে। এতে নতুন করে যোগ হয় দু:শ্চিন্তা। কিন্তু তাতেও দমে যাননি সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। দিনরাত ব্যস্ত তারা। সারিয়ে তুললেন সববাধা। অবশেষে সফল হলেন দেশি ও বিদেশি প্রকৌশলীরা।
কেন্দ্রের কন্ট্রোল প্যানেলে অবস্থানকারী এসব প্রকৌশলীর চোখেমুখে উচ্ছাস আর আনন্দ। কারণ, এখন উৎপাদনে চাকা ঘুরছে। ফলে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ঠিক ৭টায় প্রাণ ফিরেছে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের। এদিকে, দীর্ঘদিন পর কেন্দ্রটি চালু হওয়ায় দারুণ খুশি সংশ্লিষ্টরা।
চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী নূরুল আবছার বলেন, পুরোপুরি প্রাকৃতিক গ্যাস নির্ভর চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র চালু হয় ২০১২ সালে।
গ্যাস সংকটসহ বড় বড় যন্ত্রপাতি ও মেশিন অকেজো হয়ে যাওয়ার কারণে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর কয়েক দফা চেষ্টা করেও এটি চালু করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে এই কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ। তাই নির্ধারিত সময়ে চালু করে উৎপাদনে যেতে পেরে আমরা স্বস্তিতে ফিরেছি। সকল কাজ সম্পন্ন করার পর আমরা চালাতে সক্ষম হয়েছি। এটি এখন জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হচ্ছে। আমরা দেশী-বিদেশী প্রকৌশলীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু করতে সক্ষম হয়েছি।