রাজিবুল হক সিদ্দিকী, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: চৈত্র গরমের দুপুরে প্রশান্তির জন্য তরমুজের একটি ফালি যথেষ্ট। সারা বছর কম-বেশি দেখা মিললেও মৌসুমি এই ফলটি এখন পুরোদমে বাজারে আসতে শুরু করেছে। কিশোরগঞ্জে বাজারগুলোতে মাঝারি থেকে বড় আকারের তরমুজ কিনতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। তবে দাম হচ্ছে ৩০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত।
শনিবার (১৬ মার্চ) কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে পুরানথানা বাজার, বড় বাজার, ষ্টেশনরোড আড়ত ঘুরে দেখা যায়, ফলের দোকানগুলোয় থরে থরে তরমুজ সাজানো আছে। দোকানিরা বলছেন, সারা বছর থাই তরমুজ পাওয়া যায়। তবে, মৌসুমি তরমুজ গত ১৫-২০ দিন ধরে আসতে শুরু করেছে।
বাজারভেদে তরমুজের দামের পার্থক্য রয়েছে। বাজারে বড় আকারের (তিন থেকে চার কেজি) তরমুজ ৩০০ থেকে ৬০০ টাকাও হাঁকা হচ্ছে।
বাজারের ফলের দোকানি সোহেল বলেন মৌসুমি এই ফলটি এখন বাজারে আসতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন ধরেই তরমুজের সরবরাহ বেড়েছে।
তরমুজ প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পটুয়াখালি ও বরিশাল এলাকা থেকে আমরা তরমুজ সংগ্রহ করছি। ফলটিতে ৯২ শতাংশ পানি, ছয় শতাংশ চিনি ও দুই শতাংশ অন্যান্য উপাদান আছে। তরমুজে খুব সামান্য ক্যালরি আছে। তাই তরমুজ খেলেও ওজন বৃদ্ধির কোনো আশঙ্কা থাকে না। শরীরে পানির অভাব প‚রণে ফলের মধ্যে তরমুজই হলো আদর্শ ফল। তরমুজে আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও আঁশ।
মৌসুমি এই ফলটির রয়েছে নানা রোগ প্রতিরোধ ¶মতা। তরমুজ হলো ভিটামিন ‘বি৬’-এর চমৎকার উৎস, যা মস্তিষ্ক সচল রাখতেও গুরুত্বপ‚র্ণ ভ‚মিকা রাখে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি খেলে দেহের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসজনিত অসুস্থতা কমে। এই ফলটি নিয়মিত খেলে প্রোস্টেট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে না।
তরমুজে প্রচুর পানি ও কম ক্যালরি থাকায় পেট পুরে তরমুজ খেলেও ওজন বাড়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, তরমুজে থাকা উচ্চ পরিমাণে সিট্রুলিন মানব দেহের ধমনির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখে ও রক্তচাপ কমিয়ে দেয়।