বাংলাদেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব হচ্ছে বাহা পরব। গ্রামীণ সংস্কৃতি থেকে দূরে থেকেও নিজেদের ঐতিহ্য আর পরম্পরা বাঁচিয়ে রাখতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পালিত হয়েছে বাহা বঙ্গা উৎসব।
শুক্রবার (২২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম ছায়ামঞ্চে বাহা বঙ্গা উদযাপন কমিটির আয়োজনে সকাল থেকে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে ছিল বর্ণাঢ্য সব আয়োজন।
সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মহিলারা লাল পাড়ের হলুদ শাড়ি ও সাঁওতাল পুরুষরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে 'মাদল' এবং 'ধমসা' বাজিয়ে উৎসবে অংশ নেন। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত সাঁওতাল সম্প্রদায়ের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও।
উৎসবে দেবতাদের উদ্দেশ্য পূজা, ফুল বিতরণ,গান পরিবেশন ও বর্শা নিক্ষেপের আয়োজন করা হয়। তবে মূল আকর্ষণ ছিল ঐতিহ্যবাহী বাহা নৃত্য।
বাহা বঙ্গা উদযাপন কমিটির সদস্য রিতা হেমরম বলেন, “সাঁওতালি ভাষায় বাহা মানে ফুল। বসন্ত ঋতুতে বিশেষ করে শাল গাছে গাছে নতুন ফুল ফুটলে সাঁওতাল সম্প্রদায় এ উৎসব পালন করে। এই অনুষ্ঠানটিতে মূলত সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মঙ্গল ও তাদের জীবিকায় সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
বাহা বঙ্গা উদযাপন কমিটি ঢাকা এর আহ্বায়ক নিরালা মারডি বলেন, অন্যান্য জনগোষ্ঠী যেমন তাদের নিজস্ব সম্প্রদায়ের উৎসব পালন করে থাকে যেমন পাহাড়িরা জুম, বাঙালিরা নববর্ষ তেমনি আমরাও বাহা বঙ্গা পালন করে থাকি। আমরা চাই রাষ্ট্রীয়ভাবে যাতে আমাদের এই উৎসব পালন করা হয়।
দিনব্যাপী এ আয়োজনের সমাপনী অধিবেশনে বক্তারা সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও সাংস্কৃতিক কর্মী নাজমুন নেছা পেয়ারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আহমেদ রেজা দিপু, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারেক রেজা প্রমুখ।
#........
প্রকাশক : মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তালুকদার
সম্পাদক : খান মোহাম্মদ সালেক
Copyright © 2025 Daily Dhaka Press. All rights reserved.