গোটা মুসলিম বিশ্বে ঈদ আনন্দ শুরু হলেও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এর ছিটেফোঁটাও নেই। শিশুদের পরনে নেই নতুন জামা, বেশির ভাগের পাতে ওঠেনি মাংস-কিংবা সেমাই। ঈদের নামাজ যে পড়বে সেই মসজিদও নেই। সবই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিমান আর রকেট হামলায়।
ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া মসজিদের জায়গাতেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন গাজাবাসী। বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ফিলিস্তিনিরা বুধবার গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের আল-ফারুক মসজিদের ধ্বংসাবশেষে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছে।
মসজিদের ধ্বংসাবশেষে ফিলিস্তিনিদের ঈদের নামাজের ছবিও সামনে এসেছে। সেখানে বুধবার সকালে রাফাহ শহরের ওই মসজিদের ধ্বংসাবশেষের পাশেই ফিলিস্তিনিদের ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে দেখা যায়।
এদিকে ঈদের দিনও রেহায় মেলেনি ইসরায়েলি তাণ্ডব থেকে। গাজার নুসেইরাত ক্যাম্প এলাকায় চালানো হয়েছে বিমান হামলা। এতে ৪ শিশুসহ প্রাণ যায় ১৪ জনের। অন্যদিকে দেইর আল বালাহতে চালানো হামলায় প্রাণ গেছে আরও ১১ জনের। এরমধ্যে ৫ নারী রয়েছেন। এর পাশাপাশি বিমান হামলাও চালানো হয় আরও কয়েকটা জায়গায়।
মূলত আবাসিক স্থাপনা এবং শরণার্থী শিবিরগুলোকে লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়। রাফাহতে হামলা না চালালেও ইসরায়েলি ড্রোন সেখানকার আকাশে চক্কর দিচ্ছে। যে কোনো মুহূর্তে হামলা হতে পারে বলে সব সময় আতঙ্কে রয়েছেন গাজার বাসিন্দারা।
গত ৬ মাস ধরে চালানো ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া গাজায় খাদ্যাভাব চরম পরিস্থিতি ধারণ করেছে। বাড়িতে নেই খাবার, নেই পানিও। অনাহারে থাকা লোকজন অপুষ্টি ও পানি শূন্যতার শিকার হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন অনেকে। কিন্তু সেখানেও মিলছে না পর্যাপ্ত সেবা। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন হাজার হাজার মানুষ।
প্রকাশক : মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তালুকদার
সম্পাদক : খান মোহাম্মদ সালেক
Copyright © 2025 Daily Dhaka Press. All rights reserved.