ধর্মজীবন: আল্লাহ তাআলার কাছে কল্যাণকর বৃষ্টির জন্য দোয়া করা সুন্নত। বিশেষ করে অনাবৃষ্টিতে পরিবেশ যখন শুষ্ক হয়ে যায় তখন বৃষ্টির জন্য দোয়ার শিক্ষা রয়েছে হাদিসে। রাসুলুল্লাহ (স.) এমন অবস্থায় বৃষ্টির জন্য একটি দোয়া করেছিলেন, যে দোয়ার কারণে সঙ্গে সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছিল।
দোয়াটি হলো—اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا مَرِيعاً نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাসক্বিনা গাইছান মুগিছান মারিয়ান মারিআন নাফিআন গাইরা দাররিন আঝেলান গাইরা আঝেলিন।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে বিলম্বে নয় বরং তাড়াতাড়ি ক্ষতিমুক্ত-কল্যাণময়, তৃপ্তিদায়ক, সজীবতা দানকারী, মুষলধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করুন।’
হজরত জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেছেন একদিন নবীজি (স.)-এর কাছে কতিপয় লোক (বৃষ্টি না হওয়ায়) ক্রন্দনরত অবস্থায় এলে তিনি দোয়াটি করেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তাদের উপর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায় (এবং বৃষ্টি হয়)।’ (আবু দাউদ: ১১৬৯, ইবনু খুজাইমা: ১৪১৬, মেশকাত: ১৫০৭)
এ সংক্রান্ত আরেকটি দোয়া হলো- اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا طَبَقًا مَرِيعًا غَدَقًا عَاجِلاً غَيْرَ رَائِثٍ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাসক্বিনা গাইছান মুগিছান মারিয়ান ত্ববাকান মারআন গাদাক্বান আঝেলান গাইরা রায়িছিন।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদের সাহায্যকারী বৃষ্টির পানি দান করুন যা সুপেয়, পর্যাপ্ত, ফসল উৎপাদক, প্রচুর, অবলম্বনে, বিলম্বে নয়।’
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, এক বেদুইন নবী (স.)-এর কাছে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল! আমি অবশ্যই এমন এক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আপনার কাছে উপস্থিত হয়েছি যাদের রাখালদের পর্যাপ্ত আহারের সংস্থান নেই, এমনকি তারা তাদের চতুস্পদ জন্তুর বেঁচে থাকার আশাও ত্যাগ করেছে। তখন তিনি (নবীজি) নামাজ পড়লেন এরপর মিম্বরে উঠে আল্লাহর প্রশংসা করলেন, এরপর দোয়াটি করলেন। এরপর তিনি মিম্বর থেকে নামলেন। এরপর যে সকল লোকই তাঁর কাছে এসেছে তারাই বলেছে, আমাদের এখানে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ: ১২৭০)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অনাবৃষ্টিতে নামাজ পড়ে উল্লেখিত দোয়াগুলো পড়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।