আনন্দলোক: ফুল, জয়া ও মঞ্জু মাই এই মুভির প্রধান তিনটি নারী চরিত্র। তিন বয়সী তিনজন নারী যেন আমাদেরই বিভিন্ন বয়সের প্রতিচ্ছবি! কিশোরী ফুলকুমারীর স্বামীকে হারিয়ে তার জন্য গভীর ভালবাসা, বিশ্বাস ও অপেক্ষা আমার তারুণ্যের প্রতিচ্ছবি।
জয়ার উচ্চাশা আর কঠিন সংকল্প আমাকে মনে করিয়ে দেয় ক্যারিয়ারের শুরুতে আমার স্ট্রাগল! আর মঞ্জু মাই! এ যেন সাম্প্রতিক কালের আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন এক নারীর উৎকৃষ্ট উদাহরণ! মধ্যবয়সী মঞ্জু মাই নিজের আত্মসম্মান বিকিয়ে অপদার্থ স্বামীর সঙ্গে না থেকে খুব অল্প আয়ে নিজের জীবন নির্বাহ করা যেন একটি শিক্ষা, একটি প্রেরণা!
এই মুভির গল্পের গাঁথুনি প্রাঞ্জল। এর সময়কাল ২০০১, যা চমৎকার বিশ্বাসযোগ্য ভাবে পরিচালক ফুটিয়ে তুলেছেন। অভিনয় দেখে মনে হয়েছে যেন অভিনয় নয়, আমি ঘটনাগুলো সামনাসামনি প্রত্যক্ষ করছি। মুভিটি সমাজে নারীর অবস্থান কী অবলীলায় তুলে ধরেছে লম্বা ঘোমটা আর স্বামীর নাম মুখে না নেওয়ার মাধ্যমে।
আবার সেই সমাজেরই এক নারীর মধ্য দিয়েই দেখিয়েছে সমাজ ভাংগার প্রথা, যে কিনা উচ্চ শিক্ষার জন্য সুদূর দেরাদুন যাওয়ার জন্য হয়ে ওঠে বেপরোয়া, সাহসী ও প্রত্যয়ী! এই মুভিটি সাম্প্রতিক কালের নগ্ন ও ভাইরাল সমাজকে এক পশলা বৃষ্টির মত সতেজতা দান করবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। আর এক কথায় বলতে পারি এটি হিন্দি মুভির জগতে নারী জাগরণের এক অনন্য দলিল!
প্রকাশক : মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তালুকদার
সম্পাদক : খান মোহাম্মদ সালেক
Copyright © 2025 Daily Dhaka Press. All rights reserved.