খাগড়াছড়ি: বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস উপলক্ষ্যে গত মঙ্গলবার ইউথ অ্যাডোলেসেন্ট রাইটস নেটওয়ার্ক (ইয়ার্ন) এর আয়োজনে এবং পিএসডিআই কনসালটেন্সি, জাবারাং, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা ও খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির সহযোগিতায় খাগড়াছড়ির খাগড়াপুরে জাবারাং রিসোর্স সেন্টারে সচেতনতাবৃদ্ধিমূলক আলোচনা ও পূনঃব্যবহারযোগ্য স্যানিটারি প্যাড তৈরির প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপ-পরিচালক (স্থানীয় সকোর) নাজমুন আরা সুলতানা। সভাপতিত্ব করেন ইয়ার্নের সভাপতি শেফালিকা ত্রিপুরা। জাবারাং এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর দয়ানন্দ ত্রিপুরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিপন চাকমা, পিএসডিআই কনসালটেন্সির চেয়ারপারসন মো. ইসহাক ফারুকী, খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর কাজল বরণ ত্রিপুরা, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার প্রোগ্রাম ম্যানেজার সুইচিং অং মারমাসহ সংগঠনসমূহের কর্মকর্তারা।
রিপন চাকমা তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের জীবন, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রকল্পেও মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করেছি। মাসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের সকলের কথা বলা প্রয়োজন। পাশাপাশি রিউজিবল স্যানিটারি প্যাডের প্রশিক্ষণ নেওযার পর তা অন্যকে শেখানোর ক্ষেত্রে যার যার অবস্থান থেকে আমরা যেন ভূমিকা রাখি।
পিএসডিআই কনসালটেন্সির চেয়ারপারসন মো. ইসহাক ফারুকী বলেন, বাজার বা চলাচলের পথে নারীদের জন্য আলাদা ঘর বা মাসিক-বান্ধব স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট থাকা প্রয়োজন। তা ছাড়া পুনঃব্যবহারযোগ্য স্যানিটারি প্যাডের বাজারজাতকরণে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে এক হয়ে কাজ করা প্রয়োজন।
সভাপতির বক্তব্যে ইয়ার্নের সভাপতি শেফালিকা ত্রিপুরা বলেন, মাসিক কোন লজ্জার বিষয় নয়। মুখ ফুটে বলতে হবে। বাবা-মা, ভাই-বন্ধু সকলের সাথে শেয়ার করতে হবে। এখন চুপ করে থাকার সময় নয়। আর মাসিকের সময় ব্যবহারের কাপড় কড়া রোদে শুকাতে হবে। এটা গোপন রাখার বিষয় না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপসচিব নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, বাজারের প্রচলিত প্যাডের পরিবর্তে পুনঃব্যবহারযোগ্য স্যানিটারি প্যাড তৈরি করলে একদিকে যেমন অর্থের সাশ্রয় হবে; তেমনি তূলণামূলক পরিবেশ-বান্ধব। এধরণের প্যাড তৈরির প্রচলন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। মাসিক সংক্রান্ত সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে স্কুলের ফোকাল পয়েন্ট বা কমিউনিটি ক্লিনিকে যেতে হবে। এ বিষয়ে শংকিত থাকলে হবে না।