
মহাবিপন্ন একটি ফড়িংয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে বেইজিংয়ে। চলতি বছরের মে মাসের গোড়ার দিকে, বেইজিংয়ের হাইতিয়ান জেলার ওয়াটার অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর ওয়াটার ইকোলজি অ্যান্ড হেলথ মনিটরিং টিম, বেইজিংয়ের শাংচুয়াং জলাধারের তীরে জরিপের সময় প্রথমবারের মতো লিবেলুলা অ্যাঞ্জেলিনা নামের ফড়িংটির মতো দেখতে একটি পতঙ্গের সন্ধান পায়। বেক্কো টম্বো নামেও পরিচিত এ ফড়িং।
পূর্ব এশিয়ায় এর দেখা মিলতো বেশি। এটি একবার উত্তর এবং পূর্ব চীনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েও পড়েছিল। বেইজিং ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞরা সাম্প্রতিক পরীক্ষা ও শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার পর ওটাকে লিবেলুলা অ্যাঞ্জেলিনা বলে ঘোষণা করেন। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণের ইউনিয়ন আইইউসিএন ফড়িংটিকে অনেক আগেই বিপন্ন তালিকাভুক্ত প্রজাতি হিসেবে নির্ধারণ করেছিল। বেইজিং ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক শি হংলিয়াং বলেন, ‘লিবেলুলা অ্যাঞ্জেলিনার জন্য আদর্শ আবাসস্থল হলো উচ্চমান সম্পন্ন ছোট ও স্থির জলাধার। ধানের ক্ষেত ও ছোট হ্রদগুলো এ ফড়িংয়ের আদর্শ আবাসস্থল ছিল।
তবে, নগরায়ন বৃদ্ধি ও ছোট হ্রদের সংখ্যা কমে আসায় এ ফড়িংয়ের আবাসস্থলও কমে আসছে।’ শি হংলিয়াং আরও বলেন, অন্য জাতের ফড়িংরা সমতলে উপযুক্ত পরিবেশ না পেলে পাহাড়ে চলে যায় ও নতুন আবাসস্থল খুঁজে নেয়। কিন্তু লিবেলুলা অ্যাঞ্জেলিনার পরিবেশগত অভিযোজন ক্ষমতা দুর্বল। আর এ কারণেই বিপন্ন তালিকায় নাম উঠেছিল ফড়িংটির। হাইতিয়ানের ওয়াটার অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর ওয়াটার ইকোলজি অ্যান্ড হেলথ মনিটরিং প্রজেক্টের প্রধান ছেন ছিয়ানকুওর মতে, লিবেলুলা অ্যাঞ্জেলিনা ফড়িংটি জায়ান্ট পান্ডার চেয়েও বিপন্ন প্রাণী।
প্রকাশক : মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তালুকদার
সম্পাদক : খান মোহাম্মদ সালেক
Copyright © 2025 Daily Dhaka Press. All rights reserved.