ঢাকা : ‘দায়িত্বশীলদের দৈনিক’ শিরোনামে প্রকাশিত দেশের অন্যতম আলোচিত পত্রিকা দেশ রূপান্তরের সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন প্রখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক মোস্তফা মামুন।
তিনি এতদিন দৈনিকটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের আগেও তিনি পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সোমবার (১ জুলাই) রূপায়ণ গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান ও পত্রিকাটির প্রকাশক মাহির আলী খাঁন রাতুল আনুষ্ঠানিকভাবে মোস্তফা মামুনকে সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব তুলে দেন।
দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বরেণ্য সাংবাদিক মোস্তফা মামুনকে সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় দেশ রূপান্তরের সাংবাদিকরা রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও কো-চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানান। নতুন দায়িত্ব পাওয়ায় মোস্তফা মামুনকে সবাই শুভেচ্ছা জানান।
মোস্তফা মামুনের জন্ম মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান। তিনি সিলেট ক্যাডেট কলেজ থেকে ১৯৯১ সালে এসএসসি ও কুমিল্লা ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১৯৯৩ সালে এইচএসসি পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগ থেকে নিয়েছেন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। এরপর মোস্তফা মামুনের হওয়ার কথা ছিল আইনজীবী। কিন্তু হননি, হয়েছেন সাংবাদিক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকেই, ১৯৯৫ সালে যুক্ত হন দৈনিক ভোরের কাগজে। সেখান থেকে ১৯৯৮ সালে যোগ দেন প্রথম আলোয়। দৈনিক প্রথম আলো থেকে ক্রীড়া সম্পাদক হিসাবে ২০০৪ সালে যোগ দেন যায়যায়দিনে। এরপর দুই বছর ছিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে। ২০০৯ সাল থেকে কালের কণ্ঠেও ছিলেন ক্রীড়া সম্পাদক। এরপর ২০১৪ সালে পদোন্নতি পেয়ে হন উপসম্পাদক। ২০২২ সালে তিনি নির্বাহী সম্পাদক হিসাবে যোগ দেন দেশ রূপান্তরে।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি ছাত্রাবস্থায় লেখা কিশোর উপন্যাস দিয়ে পাঠকদের মন জয় করার পর লিখেছেন নানা রকমের লেখা। বইয়ের সংখ্যা একশ’রও বেশি। এর মধ্যে ক্যাডেট নাম্বার ৫৯৫, বামহাতি বাবলু, ফ্রেন্ডস ক্লাব, ক্যাম্পাস ১৯৯৫, অন্ধ গলিতে ফুলের গন্ধ, কোটিপতি বদরু ভাই, ম্যাচের আগের দিন, গোয়েন্দা তনু কাকা সিরিজ, কিশোর ভৌতিক সিরিজ ব্যাপকভাবে সমাদৃত। গল্প-উপন্যাস, খেলার লেখা, রাজনীতির কলামসহ তার লেখালেখির ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত।