ডিডিপি ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ক্রমেই উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। আবহাওয়া অফিস জানায়, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘দানা’। ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করেছে কাতার। আরবি ভাষায় এই শব্দের অর্থ ‘সুন্দর এবং মূল্যবান মুক্তো’। তবে এই ঘূর্ণিঝড় কোথা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে অথবা কোথায় এটির ল্যান্ডফল হবে সেটা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে ভারতের উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের পুড়ি এবং সাগরদ্বীপের মাঝ দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যবর্তী সময়ে। ওই সময় বাতাসের গতিবেগ ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার এবং ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
প্রথমে ঝড়ের নামকরণের কোনো নিয়ম ছিল না। পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা এর জন্য একটি আদর্শ পদ্ধতি তৈরি করেন। ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়, যাতে মানুষ ঝড়ের কথা মনে রাখতে ও শনাক্ত করতে পারেন। একটি নাম দিয়ে সচেতনতা তৈরি ও সতর্কতা প্রেরণ করা যেন সহজ হয়।
কক্সবাজার এবং টেকনাফে তেমন কোন অস্বাভাবিকতা এখনো দেখা যায়নি। সাতক্ষীরাতে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সতর্কতা দেখানো হয়েছে পায়রা সমুদ্র বন্দরকে। ৪টি বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখানো হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।