শেখ নাইমুল ইসলাম: ‘গ্যালাপ ইন্টারন্যাশনাল’ এক জরিপে পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় মুসলিম নেতা রিসেপ তায়েব এরদোয়ান এবং পৃথিবীর পঞ্চম প্রভাবশালী নেতা। যেখানেই মুসলমান অন্যায় নিপীরন, নির্যাতনের শিকার হয় সেখানেই তার প্রতিবাদি কন্ঠস্বর বেসে উঠতে দেখা যায়। যার জন্য বর্তমান মুসলিম বিশ্বের খলিফায় আখ্যায়িত করা হয় তাকে।
রেজেপ তাইয়িব এরদোয়ান ২০০৩ সালে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সাল থেকে তুরষ্কে প্রেসিডেন্টে হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন ধর্মপ্রাণ এই মুসলিম নেতা। তার নেতৃত্বে তুরস্কে ইসলাম ধর্ম অনেকগুরুত্ব পাচ্ছে এবং জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পরেছে তুরষ্কের পাশাপাশি গোটা বিশ্বে।
বর্তমান বিশ্বের টানাপড়া রাজনীতিতে মুসলমানদের অনঐক্য,বিশ্ব যখন নেত্বিতের অভাবে ভুগছেন তখনই বিশ্বে মুসলিম নেতা হিসেবে হাল ধরে আল- আকসা থেকে বাবরি মসজিদ ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের চলমান যোদ্ধ, মধপার্চে যুদ্ধের উত্তেজনা, মিয়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গাদের গনহত্যা ইত্যাদি বিষয়ে জাতিসংঘে তিব্র প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয় বিশ্বে যে কোন প্রান্তে মুসলমানদের নির্যাতনে বিভিন্ন ভাবে সরাসরি সহায়তা ও প্রতিবাদ করে পাশে থাকতে দেখা গেছে।
বর্তমান তিনিই একমাত্র নেতা যিনি ন্যাটো সদস্য হয়েও মুসলমানদের বিপদে আমেরিকার সাথেও চোখ রাঙিয়ে কথা বলেছেন বার বার। যখন আরমানি ও আজাইরা ভাইজান মুখোমুখি যুদ্ধে দাঁড়ানো তখন এরদোয়ান বলেন,আজাইরা ভাইজান কে রক্ষা করার জন্য আমি এক মুহূর্তও চিন্তা করবো না।
তিনি সবসময় চান মুসলিম রাষ্ট্রগুলো ঐক্য থাকুক সেই অনুযায়ী চেষ্টাও চালান। যার জন্য বিশ্বে মুসলিম জনতার প্রিয় নেত্বিত্বের মানুষ হয়ে উঠেছেন রেজেপ তাইয়িফ এরদোয়ান।