Site icon Daily Dhaka Press

বিপিএল থেকে রেকর্ড আয় বিসিবির

ঢাকা : মাসব্যাপী বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) জমজমাট একদাশ আসর শেষ হয়েছে একদিন আগেই। শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে চিটাগং কিংসকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল। এরমধ্যে দিয়ে শুক্রবার (০৭ ফেব্রূয়ারি) পর্দা নেমেছে আসরের। এবারের বিপিএল ছিল নানা কারণে বিতর্কিত।

তারমধ্যে অন্যতম ম্যাচ ফিক্সিং। আছে যথাসময়ে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক না দেয়ার ঘটনায়। যা পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে এসব বিতর্ক ছাপিয়ে এবারের আসরে দর্শক উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

ফলে বিপিএল ইতিহাসে প্রথমবার টিকিট বিক্রির আয়ে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সবমিলিয়ে টিকিট বিক্রি থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

যদিও টুর্নামেন্টের শুরুতে টিকিট নিয়ে ব্যাপক অব্যবস্থাপনা ছিল। টিকিট কাউন্টার পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবু আয়ের দিক থেকে আগের সব আসরকে ছাড়িয়ে গেছে এবারের বিপিএল। অনলাইন ও ব্যাংকের মাধ্যমে টিকিট বিক্রিতে রীতিমতো বিপ্লব ঘটেছে। মিরপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেটের সব ভেন্যুতেই দর্শকদের ব্যাপক সাড়া দেখা গেছে।

তবে অনলাইন টিকিট বিক্রির ফলে এবার আয় আরও স্বচ্ছভাবে বেড়েছে। বিপিএলের ৬০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়েছে ডিজিটাল মাধ্যমে, যা সরাসরি জমা হচ্ছে বিসিবির কোষাগারে।

ফাইনাল ম্যাচের টিকিটের দাম বাড়ার পরও টিকিট নিয়ে ব্যাপক আগ্রহী ছিলেন সমর্থকরা। ফাইনালে ৬ হাজার টিকিট ছিল বিসিবির স্টেক হোল্ডারদের জন্য বরাদ্দ; বাকি ১৬ হাজারই অনলাইন, ব্যাংক ও বুথের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। বিসিবি সূত্র মতে, ফাইনাল শেষে টিকিট বিক্রি থেকে আয় ১৩ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

বিপিএলের সপ্তম থেকে দশম আসর পর্যন্ত টিকিট থেকে আয় তেমন ছিল না। গড়ে প্রতি আসরে মোট আয় ছিল ৪ কোটির মতো। সে সময় টিকিট বিক্রির বিষয়টি বিসিবির হাতে না থাকায় আয় কম হতো বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এবার বিসিবির পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করে টিকিট বিক্রির উদ্যোগ নেয়াতেই এমন সাফল্য।

টিকিট বিক্রি থেকে আয় বাড়ায় এরই মধ্যে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপের প্রাইজমানি বাড়িয়েছে বিসিবি। দুই কোটির প্রাইজমানি বাড়িয়ে আড়াইকোটি করা হয়েছে এবং এক কোটির প্রাইজমানি বাড়িয়ে করা হয়েছে দেড় কোটি টাকা।

Exit mobile version