ঢাকা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তারুণ্যের উৎসবে কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।দেশ পুনর্গঠনে তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে তিন দিনব্যাপী ‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, উপজেলা,জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে তারুণ্যের উৎসব পালিত হচ্ছে। ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো বিভিন্ন খেলাধুলা আয়োজনের মাধ্যমে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ পালন করছে। এরই অংশ হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তিন দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসব উদযাপন করছে যার শেষ দিন”
উপদেষ্টা বলেন, তারুণ্যের উৎসবের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্য এই সরকারের এবং তরুণদের যে অবদান রাখার সুযোগ আছে সেইটা বাংলাদেশ তথা পৃথিবীর সামনে উত্থাপিত হচ্ছে। জুলাই অভ্যুত্থানে তরুণরাই ছিল মূল চালিকাশক্তি এবং গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এখন পর্যন্ত তরুণরাই সবচেয়ে বেশি অবদান রেখে যাচ্ছে। তরুণরা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন আছে ফলে বাংলাদেশ আর কখনো পথ হারাবে না।
তিনি আরও বলেন, একটি ফ্যাসিবাদী, গণহত্যাকারী শক্তি যারা গুম খুনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে ছিলো, তারা আজীবন জনগণের শত্রু হিসেবেই স্বীকৃতি পাবে। অভ্যুত্থান পরবর্তীতে নানা ধরনের উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে দেশ গেছে তবে বাংলাদেশ এখন এই পর্যন্ত আসার পিছনে সকলের ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত এবং শহীদের শোককে শক্তিতে পরিণত করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপিত হচ্ছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় লিড মিনিস্ট্রি হিসেবে কাজ করছে। তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ এর মাধ্যমে দেশের সকল তরুণ ও যুব সমাজকে উন্নয়নের ধারায় সংযুক্ত করে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান সহ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দু