তৌফিক আহমেদ তফছির, ঢাকা : মুস্তাক (ছদ্মনাম) । গ্রামের বাড়ি দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ঢাকার একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারি হিসেবে কাজ করেন। দীর্ঘদিন ধরে বাটন ফোনসেট ব্যবহার করেন। সম্প্রতি বেতনের টাকা থেকে জমিয়ে শখের একটি স্মার্টফোন কেনেন।
একটি স্মার্টফোন কিনতে যেয়ে দীর্ঘদিন টাকা জমিয়েছেন তিনি। বেতনের টাকা থেকে অল্প অল্প করে জমিয়ে সঞ্চয় করেছিলেন। সম্প্রতি মুস্তাকের অফিসের পাশে যমুনা ফিউচার পার্ক শপিংমল থেকে কাঙ্খিত সেই স্মার্টফোনটি কেনেন তিনি।
কেনার সময় দোকানি মুস্তাককে স্মার্টফোনটি চালানোর টুকিটাকি দেখিয়ে দেন। ইচ্ছে ছিল, ঈদের আগেই বাড়ি যাবেন। কিন্তু মুস্তাকের সেই স্বপ্নকে পলকেই দুঃস্বপ্নে রূপ দিল রাজধানীর অজ্ঞাত ছিনতাইকারী!
সোমবার (১০ মার্চ) সকালে শখের সেই মোবাইল নিয়েই যথারীতি অফিস করেন মুস্তাক। সন্ধ্যার আগে পৌছতে হবে বাস স্ট্যান্ডে। বাসেই যাবেন জন্মশহর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
গাড়ি ছাড়ল ঠিক আধঘণ্টা পর। কমলাপুর থেকে যাত্রাবাড়ি আসতেই প্রায় এক ঘণ্টা। টুলপ্লাজার কাছাকাছি আসতেই বাড়ি থেকে মায়ের ফোন, বাবা তুমি কোথায়? উত্তর আর দেয়া গেল না! ঈগল পাখির মতো ছুুঁ মেরে স্বপ্নের মোবাইলটি নিয়ে গেল ছিনতাইকারী!
জানালা দিয়ে অপলক তাকিয়ে রইলেন মুস্তাক। নিরুপায় আর অসহায় সেই চাহনির যেন সীমা নেই! বুকের ভেতর শুধু হা হা করছে! মুখ দিয়ে কোনো শব্দ বের হয় না! পাশের যাত্রীদের চিৎকারে থামাল গাড়ি! ততক্ষণে ছিনতাইকারীর যাত্রাবাড়ি পার!
এভাবেই প্রতিদিন মুস্তাকের মতো শত শত মানুষের ছোট ছোট স্বপ্নগুলো ছিনতাই হচ্ছে! নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের মোবাইল ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটছে অহরহ।
প্রশাসনের চোখের সামনেই দুর্ধর্ষ এসব ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে, তবু কোনো প্রতিকার করতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যেন কোনো কিছুই করার নেই তাদের। সাধারণ যাত্রীদের এ ভোগান্তির শেষ কোথায়?
প্রকাশক : মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তালুকদার
সম্পাদক : খান মোহাম্মদ সালেক
Copyright © 2025 Daily Dhaka Press. All rights reserved.