ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় একটি আবাসিক হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে দগ্ধ হয়েছেন আরও অনেকেই। মৃতদের মধ্যে ১৩ জন হোটেলের বোর্ডার। আর একজন হোটেলকর্মী।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে মধ্য কলকাতার বড়বাজারে ঋতুরাজ হোটেলে ওই আগুনের ঘটনা ঘটে। ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এসব তথ্য জানায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই হোটেলে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইঞ্জিন। প্রায় ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও তা পুরোপুরি নেভাতে পারেনি দমকল বাহিনী। বুধবার (৩০ এপ্রিল) এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আগুন লাগার পর আতঙ্কিত হয়ে বেশ কয়েক জন হোটেলের কার্নিশে চলে আসেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মই দিয়ে তাদেরকে নামিয়ে নিয়ে আসেন কীভাবে এই আগুনের সূত্রপাত, তা খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে। বুধবার ঘটনাস্থলে যাবে ফরেন্সিক দল। তারা পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবে।
এদিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আগুনের ঘটনার পরপরই রাজ্য প্রশাসনকে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের জন্য অনুরোধ করেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা রোধ করতে তিনি অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার কঠোর নজরদারি করার আহবান জানান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমি রাজ্য প্রশাসনের কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের অবিলম্বে উদ্ধার, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা প্রদানের আহবান জানান। এছাড়াও, ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা রোধ করার জন্য অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা এবং কঠোর পর্যবেক্ষণের আবেদন করেন।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারও কলকাতা কর্পোরেশনের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। আগুন লেগেছে, অনেক মানুষ এখনো ভবনে আটকে আছেন। কোনো নিরাপত্তা বা সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। আমি জানি না কর্পোরেশন কী করছে।
নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতাল এবং নীল রতন সরকার মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
ডেইলি ঢাকা প্রেস / ৩০ এপ্রিল ২০২৫/ জেডআরসি
প্রকাশক : মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তালুকদার
সম্পাদক : খান মোহাম্মদ সালেক
Copyright © 2025 Daily Dhaka Press. All rights reserved.