Daily Dhaka Press

বিক্ষোভ ঠেকাতে সচিবালয়ে পুলিশের সঙ্গে সোয়াট-বিজিবি-র‌্যাব

সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের প্রতিবাদে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডাকা সমাবেশ ঘিরে পুরো এলাকায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়। মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল থেকে সচিবালয় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, সোয়াট ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

সচিবালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছে সোয়াট টিম, পাশাপাশি দেখা গেছে বিজিবি সদস্যদেরও। আগে থেকে জারি করা নির্দেশনার ভিত্তিতে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্য কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি সাংবাদিকদেরও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্রশাসনের এই প্রাণকেন্দ্রে।

গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদ সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ আকারে জারি করার প্রস্তাবে সায় দেয়। এর প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে সচিবালয়ে বিক্ষোভে নামেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

তাদের বিরোধিতার মাঝেই রবিবার রাতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর অধ্যাদেশ জারি করা হয়। নতুন এ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক কালো আইন’ বলে অভিহিত করে তা বাতিলের দাবিতে গত তিন দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এদিকে সচিবলায়কে জনদুর্ভোগ ও ফ্যাসিবাদ দীর্ঘায়িত করার ‘ক্যান্টনমেন্ট হিসেবে’ অভিহিত করে ‘ক্যু’ সম্পর্কে সচেতন থাকতে বলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ।

আন্দোলনকারীদের হুমকি দিয়ে ফেসবুকে হাসনাত লিখেছেন, জনগণ সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে। “পাঁচ আগস্ট পর্যন্ত কালো ব্যাজ ধারণ করে, হাসিনাকে সমর্থন দিয়ে অফিস করা সচিবালয়ের কর্মকর্তারা তাদের ক্যু অব্যাহত রাখলে তাদের পরিণতি পতিত হাসিনার মতো হবে। সুতরাং, সাবধান!”

আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ ঠেকাতে মঙ্গলবার সচিবালয়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সচিবালয় ও সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সোমবার (২৬ মে) রাতে ডিএমপির নির্দেশনায় বলা হয়, বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সকল ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধ।

তবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সকাল সাড়ে ১০টায় সচিবালয়ের বাদামতলায় সমাবেশের ডাক দেয় ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম’। এই কর্মসূচিকে ঘিরেই সকাল থেকে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সোয়াট ও বিজিবি।

নিয়মিত দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি দেখা গেছে অতিরিক্ত উপস্থিতি। সচিবালয়ের বাইরে রাখা হয়েছে সাঁজোয়া যান (এপিসি)।

Exit mobile version