নিজস্ব প্রতিবেদক:তরুণদের প্রযুক্তি জগতে আগ্রহ ও দক্ষতা বাড়াতে রোবো টেক ভ্যালি ও উত্তরা ইউনিভার্সিটি যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘পঞ্চম আন্তর্জাতিক রোবো টেক অলিম্পিয়াড ২০২৫’। দুই দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা হয় রাজধানীর উত্তরা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে।
২০ ও ২১ জুন অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশসহ বিদেশ থেকেও শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এবার প্রায় ১৩০টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫০টিরও বেশি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
এবারের অলিম্পিয়াডে ১২টি ভিন্ন ক্যাটাগরি ছিল। এর মধ্যে রোবো সকার, লাইন ফলোয়িং রোবট, রোব ওয়ার, সুমো ওয়ার, ড্রোন রেস, কুইজ, আইডিয়া প্রেজেন্টেশন, প্রোজেক্ট শোকেজ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া নতুন যুক্ত হওয়া কিছু ক্যাটাগরি ছিল ‘ইন্টার ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রামিং কনটেস্ট’, ‘হ্যাকাথন’। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে প্রায় ৫ লাখ টাকার পুরস্কার দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রায় ৪০ জন প্রতিযোগীকে আলাদাভাবে সম্মাননা জানানো হয়।
রোবো টেক ভ্যালির ম্যানেজিং ডিরেক্টর এ এস এম আহসানুল সরকার আকিব বলেন, “আমরা চাই দেশের তরুণরা প্রযুক্তিতে আরও এগিয়ে যাক। এই অলিম্পিয়াড তাদের সেই পথেই এগিয়ে নেবে বলে আশা করি।”
প্রতিযোগিতা সফল করতে উত্তরা ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগ সহায়তা করে। বিশেষ ভূমিকা রাখেন স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ডিন অধ্যাপক ড. মির্জা গোলাম রাব্বানী, সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ওয়াহিদুর রহমান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন পূর্বাণী গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কম্পিউটার বিজ্ঞানী মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শহিদুল ইসলাম। টেকনিক্যাল পার্টনার হিসেবে ছিল IEEE CS BDC.
রোবো টেক ভ্যালির সিনিয়র কনসালটেন্ট ও সাবেক চেয়ার IEEE CS BDC, ড. মো. আহসান হাবিব বলেন, “এই প্রতিযোগিতা শুধু প্রযুক্তি নয়, তরুণদের চিন্তা, কল্পনা আর উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগানোর একটা সুযোগ।”
‘আন্তর্জাতিক রোবো টেক অলিম্পিয়াড ২০২৫’ ছিল প্রযুক্তি ভালোবাসা ও উদ্ভাবনের এক বড় উৎসব, যা তরুণদের ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে মনে করছেন আয়োজকরা।
শেষ হলো রোবো টেক ভ্যালির ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট – পঞ্চম আন্তর্জাতিক রোবো টেক অলিম্পিয়াড ২০২৫
