Site icon Daily Dhaka Press

পিএসজি অন্য গ্রহের দল, ম্যাচ হেরে মেসি

ইন্টার মিয়ামিকে উড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। আটলান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে ফরাসি জায়ান্টদের কাছে ৪-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে লিওনেল মেসির দল। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন মহাতারকার কণ্ঠে ছিল বাস্তবতা মেনে নেয়ার সুর, তবু ফুটে উঠেছে গর্বের ঝিলিকও।

মেসি বলেন, ওরা (পিএসজি) চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে, দারুণ দল। আমরা জানতাম এটা কঠিন হবে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমি মনে করি, আমরা ক্লাব পর্যায়ে একটা ভালো ছাপ রেখে যাচ্ছি।

খেলার শুরু থেকেই পিএসজির আধিপত্য ছিল চোখে পড়ার মতো। বলের দখল, গতি, আক্রমণ—সবকিছুতেই তারা ছিল এগিয়ে। প্রথমার্ধেই চিলিয়ান মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেস জোড়া গোল করে ফরাসি ক্লাবকে এগিয়ে নেন। এরপর আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার তোমাস অ্যাভিলেস একটি আত্মঘাতী গোল করলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-০। দ্বিতীয়ার্ধে হাকিমি চতুর্থ গোল করে ম্যাচের ফলাফল প্রায় নিশ্চিত করে দেন।

মেসির দুটি সুযোগ আসে, কিন্তু দুবারই জানলুইজি দোনারুম্মার দৃঢ়তায় ব্যর্থ হন তিনি। লুইস সুয়ারেজও ছিলেন নিষ্প্রভ। মায়ামি আক্রমণে ছিল ধীর গতি, আর মাঝমাঠে প্রায় সব সময় পিছিয়ে থেকেছে। পিএসজির সুশৃঙ্খল রক্ষণে প্রতিপক্ষদের যেন জায়গা ছিল না একচুলও।

পরাজয়ের পরেও দলের প্রয়াসে খুশি মেসি, আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের সর্বোচ্চটা দিতে। আমি মনে করি, আমরা একটা বার্তা দিয়েছি যে আমরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। এখন আমাদের মনোযোগ থাকবে সামনের মৌসুমে।

আগের ম্যাচে পামেইরাসের বিপক্ষে জয় নিয়েও আফসোস থাকল মেসির কণ্ঠে, ওই ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও আমরা ড্র করেছিলাম, যা আমাদের পিএসজির মতো কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি করল। বিষয়টা ভিন্ন হতে পারত।

পিএসজিতে কাটানো দুই বছরের স্মৃতি ভুলেননি মেসি। ম্যাচের আগে-পরে সাবেক সতীর্থদের সঙ্গে আলাপ ও শুভেচ্ছা বিনিময়ে আবেগ প্রকাশ করেন তিনি, ওখানে যারা এখনও আছে, তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক সবসময় ভালো ছিল। আমি কৃতজ্ঞ।

নিজের বয়স (৩৮) নিয়েও মেসির মন্তব্য ছিল অনুপ্রেরণাদায়ী, আমি সবসময় দলের সঙ্গে থাকতে চাই, সহায়তা করতে চাই। যতদিন শরীর দেয়, খেলব—এ খেলাটা আমি ভালোবাসি।

খেলার পর নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে মেসি লেখেন, আজ আমাদের ক্লাব বিশ্বকাপ শেষ হলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ীদের কাছে হেরে। এখানে আমি অনেক প্রিয় মানুষের সঙ্গে দেখা করতে পেরেছি, তাতে খুশি। আমরা গর্বিত, টুর্নামেন্টের শীর্ষ ১৬-তে জায়গা করে নিতে পেরেছি। এবার লক্ষ্য এমএলএস ও সামনে যা আসছে, তা নিয়ে।

একটি বাস্তবতা মেসি স্বীকার করে নিলেন—ইন্টার মায়ামি এখনও শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় নিয়মিত হতে পারেনি। তবে লড়াকু মনোভাব, অভিজ্ঞতা এবং ক্যাপ্টেনের আশাবাদী বার্তা ভবিষ্যতের পথ চলার জন্য অনেকটাই প্রেরণা জোগাবে ফুটবলপ্রেমীদের। এখন দেখার বিষয়—এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এমএলএস-এ কেমন করে ফিরতে পারে মেসির দল।

Exit mobile version