গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
তবে, নিহত দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা ও কোটালীপাড়ার রমজান কাজী। নিহত অপর দুজনের পরিচয় জানা যায়নি।
বুধবার বিকালে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, “বিকালে তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তারা গুলিবিদ্ধ ছিলেন। পরে আহত একজন মারা যান।”
এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় হামলার মুখে পড়ে এনসিপি নেতাদের বহনকারী গাড়িবহর। এমনকি আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা চারদিক থেকে এনসিপির নেতাকর্মী ও পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাবের গাড়ি আটকে দেয়।
বিকাল পৌনে ৩টার দিকে শহরের পৌর পার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। শহরের সমাবেশস্থল থেকে বের হওয়ার পথেই কেন্দ্রীয় নেতাদের বহনকারী গাড়িবহরের ওপর ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। গুলিতে সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন ২০ জন। গুরুতর আহতদের গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এনসিপির নেতাকর্মীরা অন্য দিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পুলিশ ও র্যাবের পাহারায় এনসিপি নেতাদের শহর থেকে বাইরে বের করার চেষ্টা করা হলেও ব্যাপক হামলার মুখে তাদের আবার শহরে ফিরিয়ে আনা হয়। কিছুক্ষণ পরে সেনাবাহিনীর একটি টহল টিম সেখানে এলে তারাও হামলার মুখে পড়েন।
একপর্যায়ে এনসিপি নেতাদের গাড়িবহর ঘুরিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়ি থেকে নামিয়ে এনসিপি নেতাদের পুলিশ সুপারের দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাহারায় তারা গোপালগঞ্জ ছাড়েন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান গোপালগঞ্জ জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। পরে সরকার রাত আটটা থেকে ২২ ঘণ্টার জন্য কারফিউ আরোপ করেছে।
প্রকাশক : মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তালুকদার
সম্পাদক : খান মোহাম্মদ সালেক
Copyright © 2025 Daily Dhaka Press. All rights reserved.