জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে প্রচারণায় অছাত্রদের অংশগ্রহণ দেখা গেছে। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ ও নিয়মিত ছাত্ররাই নির্বাচনী প্রচারণায় অংম নিতে পারে। দলীয় ও স্বতন্ত্র উভয় ধরণের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এটি দেখা গেছে। তবে কারও অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করার পরও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
গত ২৯ আগস্ট থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়। এরপর থেকে একাধিক প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় অছাত্রদের দেখা গেছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক হুমায়ুন কবির হিরণ। তিনি ক্যাপশনে লিখেন.‘জাকসুর সার্বিক কার্যক্রম চলছে। হিরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ তম ব্যাচের ছাত্র। হিরণের সাথে উপস্থিত ছিলেন একাধিক প্রার্থী। সে ছবিতে আরও দেখা যায়- বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান ও ৪৬তম ব্যাচের রাজু হাসানকে।
নির্বাচনা প্রচারণা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আফফান হোসেন, ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেনের বিরুদ্ধেও। এছাড়াও আরও অনেকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরাসরি প্রচারণায় না থাকলেও বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিতে দেখা গেছে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর ও ওয়াসিম আহমেদ অনিক সহ অন্য একাধিক নেতাকে। একই ঘটনা ঘটেছে ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমানের ক্ষেত্রেও।
এসব নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন একাধিক প্রার্থী। পদপ্রাার্থী নেতা মো. বলেন, আমরা আশা করেছিলাম সবাই মিলে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে সহয়োগিতা করবো। কিন্তু অছাত্রদের দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো দুঃখজনক। যারা নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং যাদের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন তাদের সবার জন্য বিষয়টি লজ্জার। আমরা আশা করবো নির্বাচন কমিশন অতি দ্রুত এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রকাশক : মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তালুকদার
সম্পাদক : খান মোহাম্মদ সালেক
Copyright © 2025 Daily Dhaka Press. All rights reserved.