
পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়ি থেকে মো. সজীব (১৯) নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ আসা কলের মাধ্যমে খবর পেয়ে বংশাল আগামাসি লেনের ৯৩/১ নম্বর ভবনটির চতুর্থ তলার সিঁড়িতে সজীবের লাশ পাওয়া যায়। তাঁর গলায় জিআই তার প্যাঁচানো ছিল। লাশটি উপুড় হয়ে পড়ে ছিল।
সজিব বংশাল ১৭ আগামাসি লেনের স্থানীয় বাসিন্দা তাজউদ্দিনের ছেলে। এসএসসি পাস করার পর বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। বর্তমানে বেকার ছিল। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ।
বংশাল থানার এসআই মো. দুলাল হক বলেন, বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সজীবের গলায় জিআই তার পেঁচানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ওই ভবনের চারতলায় শুধু একটি পরিবার থাকতো। আমরা গিয়ে সেটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পাই। তবে স্থানীয়রা জানান, ওই বাসার মেয়ের সঙ্গে সজিবের সম্পর্ক ছিল। যা তাদের উভয় পরিবারের কেউ পছন্দ করত না।
নিহত সজীবের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম বলেন, সজীব কয়েকদিন আগে তাবলিগে দোহার গিয়েছিলেন। শুক্রবার বাসায় আসেন। শনিবার বিকেলে জানতে পারি বাসার সিঁড়িতে সজীবের লাশ পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, যে বাসায় সজীবের লাশ পাওয়া গেছে, ওই বাসার চারতলায় সজীবের প্রেমিক খাদিজাদের বাসা। খাদিজার বাবা বেঁচে নেই। তবে ঘটনার পর থেকে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
মো. ইসলাম আরও বলেন, গত ছয় বছর ধরে খাদিজার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সজীবের। মাঝখানে একবার মনোমালিন্য হয়েছিল। তবে খাদিজার মামারা এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না।
উল্লেখ্য, মাত্র ছয় দিন আগে ১৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার আরেকটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসাইনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রকাশক : মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তালুকদার
সম্পাদক : খান মোহাম্মদ সালেক
Copyright © 2025 Daily Dhaka Press. All rights reserved.