
তুরস্কের ক্রিপ্টোকারেন্সির সবচেয়ে ক্ষমতাধর নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) ১১ হাজার ১৯৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। দেশটির বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কয়েক মিলিয়ন ডলারের প্রতারণা দায়ে তাকে এই সাজা দেওয়া হয়।
২৯ বছর বয়সি সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম ফারুক ফাতিহ ওজার। তিনি তুরস্কের ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ থোডেক্সের সিইও। ২০২১ সালে প্রায় ২০০ কোটি ডলার নিয়ে আলবেনিয়ায় পালিয়ে যান ওজার। পরে ইন্টারপোল তাকে আলবেনিয়ায় গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তুরস্কে ফেরত পাঠায়।
তুরস্কের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, থোডেক্স বিনিয়োগকারীদের মোট ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ৩৫ কোটি ৬০ লাখ লিরা। এক্সচেঞ্জের ইমপ্লোশনের সময় এর মূল্য ছিল চার কোটি ৩০ লাখ ডলার। তবে মুদ্রাস্ফীতি ও লিরার পতনের কারণে বর্তমানে এর মূল্যে এক কোটি ৩০ লাখ ডলারে নেমে এসেছে।
ওজারের পাশাপাশি ইস্তাম্বুলের আদালত তার বোন সেরাপ ও ভাই গুভেনকেও একই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। এ জন্য ওজার ও তার ভাইবোনকে পৃথকভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে ।
দুই হাজার ২৭ ব্যক্তি একাধিকবার প্রতারিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে ওজার বিরুদ্ধে। এর ফলে ওজার কারাদণ্ডের সময় বেড়েছে।
বিপক্ষের আইনজীবীরা ওজাকে প্রথমে ৪০ হাজার ৫৬২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। বিচারক তা কমিয়ে ১১ হাজার ১৯৬ বছরই কারাদন্ড দেন।
২০০৪ সালে তুরস্কে মৃত্যুদণ্ড রহিত করা হয়। এরপর থেকে প্রায়ই এই ধরনের অস্বাভাবিক কারাদণ্ড দেওয়া হয় দেশটিতে। এর আগে ২০২২ সালে আদনান ওকতার নামে একজন টিভি কাল্ট প্রচারককে জালিয়াতি ও যৌন অপরাধের দায়ে আট হাজার ৬৫৮ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অনেকেই প্রশ্ন করেন একটা মানুষ তো এতো বছর বেঁচে থাকেন না। তাহলে বাকি সাজাগুলো ভোগ করবে কে? মূলত অপরাধ কতটা বড় তা বোঝাতেই এরকম সাজা দেওয়া হয়। সূত্র: জিওনিউজ।
প্রকাশক : মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তালুকদার
সম্পাদক : খান মোহাম্মদ সালেক
Copyright © 2025 Daily Dhaka Press. All rights reserved.