রায়হান আহমেদ, ময়মনসিংহ :
সেনাবাহিনীর কর্পোরাল সুমন লাল সরকার সরকারি ছুটিতে এসে ০৭/০৩/২০২২ তারিখে তার লোক জন সহ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার বিল্ডোরা ইউনিয়নের রতিন্দ্র লাল সরকাররের বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে এবং অখ্যাত ভাষায় গালিগালাজ করে ও রতি মাষ্টারের পরিবার বর্গের উপর লাঠি দিয়ে আঘাত করে ও শ্লীলতা হানি করে । অভিযুক্ত সুমন লাল সরকার ও অন্যান আসামিরা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ৪ টি, গাছ কেটে নিয়ে যায় যার অনুমানিক মূল্য ১.৫০,০০০লক্ষ টাকা। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।
সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা নং-৭১১/২০২২ , সি আর মামলা দায়ের করেন। অন্যান্য মামলাগুলো হচ্ছে,২৪৪/২০২০,৪২৮/২০২০,৩৬/২০২১,০৪ ২০২২( রাজস্ব আদালত)সি আর ২৫১ /২০২২,সি আর, ৬৬১/২০২৩ । উক্ত মামলা গুলো তদন্তকালে সে প্রভাব বিস্তার করে মামলার তদন্ত কাজকে বাধাগ্রস্ত করেছে।মামলার দলিলাদি সাক্ষ্য প্রমাণাদি ও সত্যতা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও এই অসহায় পরিবারটি কোন ন্যায় বিচার পাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭৯ ইস্টবেঙ্গল সাপোর্ট ব্যাটালিয়ন, রামু ক্যান্টমেন্ট কক্সবাজারে সে কর্মরত আছে।
সে বিভিন্ন সময় ছুটিতে এসে রথীন্দ্রলাল সরকার বয়স ৮০ এবং যয়ন্ত লাল সরকার কে দরবারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বার বার সময় ক্ষেপণ করছে। বিগত ০৪/০২/২০২৩ ও২৫/০৩/২০২৩ তারিখে দরবারের মাধ্যমে আপোষ নিষ্পত্তির কথা বলে সে তালবাহানা করছেএবং মিথ্যা প্রতিশ্রতি দিয়েছে।
রথীন্দ্রলাল সরকার এবং জয়ন্ত লাল সরকার কে বসিয়ে ছবি তুলে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলছে আমি আপোষ হয়ে গেছি। আপোসের ভুয়া ভিডিও ধারণ সে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর কাছে পাঠিয়েছে সে বলছে সে দরবার মীমাংসা করে আপোষ হয়ে গেছি। এমনকি সে এলাকায় এসে বিভিন্ন জায়গায় বলছে তার বিরুদ্ধে দশটি মামলা করলেও কেহ তার কিছুই করিতে পারিবে না এবং সে বলে বেড়াচ্ছে যে সে তার উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ফেলেছে। তাই সে একের পর এক অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে ।
সে বলে বেড়ায় সাপ্তাহিক অপরাধ অনুসন্ধান ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক রাজন লাল সরকার (রাজ) কে সে শেষ দেখে ছাড়বে। প্রয়োজনে তাকে শায়েস্তা করতে ২০,০০০০০ (বিশলক্ষ)টাকা খরছ করে হলেও এর শেষ দেখে ছাড়বে।শুধু তাই নয় সহকারী কমিশনার ভূমি মহোদয়ের অর্ডার থাকা সত্ত্বেও, তৎকালীন ৬ নং বিলড়োরা ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিনকে প্রভাব বিস্তার করেছে,এবং বর্তমান তহসিলদার ৬ নং বিলডোরা ইউনিয়ন মোছাঃ নাসরীন ।
সুলতানা সঠিক কাগজ থাকা সওে ও তাল বাহানা করছে খারিজ প্রস্তাবনা পাঠাচ্ছে না, এবং এটা নিয়ে মিছ আপিল চলমান রয়েছে এখনো কোন ওই ফয়সালা হচ্ছে না । আপিল নাম্বার -(xlll)/২০১৯ নামজারি ও জমি খারিজের জন্য আবেদন করা হলে তৎকালীন সরকারি কমিশনার ভূমি জনাব তানভীর আহমেদ নামজারি করে সংশোধনের জন্য তৎকালীন ৬ নং ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন নির্দেশ দেন।
তৎকালীন ভূমি সরকারি কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতন আদালতের আদেশ অমান্য করে আদালত অবমাননা করেছেন। বিলডোরা ইউনিয়নের বর্তমান সহকারী ভূমি কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা ও একই পথে হাঁটছেন। ইনিও সহকারী কমিশনার ভূমি মহোদয়ের আদেশ কে মানছেন না। বিগত ১০-০৮-২০২৩ তারিখ সুমন লাল সরকার ছুটিতে এসে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান কালীন সময়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে এবং জয়ন্ত লাল সরকারকে বাঁশের লাঠি আর রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মার ধর করে মারাত্মক আহত করে। জয়ন্ত লাল সরকার কে প্রথমে ময়মনসিংহে প্রাইভেট ক্লিনিকে ও পরবর্তীতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাই।
হালুয়াঘাট থানায় আমার চাচা অভিযোগ দায়ের করিলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র রায় অভিযোগটি গ্রহণ করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণবশত মামলাটি এফ আই আর করেননি। পরবর্তীতে সকল সাক্ষ্য প্রমাণাদি ও ডাক্তারি সনদপত্র সহ আমি ময়মনসিংহের সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মাসুদ আহমেদ ভূঁইয়া সাহেবের সাথে দেখা করিলে, তিনি অভিযোগটি পূনতদন্ত করার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হালুয়াঘাট সার্কেলকে নির্দেশ দেন।
হালুয়াঘাট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল সরোজমিনে বিষয়টি তদন্ত করেন কিন্তু অজ্ঞাত কারণবশত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হালুয়াঘাট সার্কেল তদন্ত প্রতিবেদন এসপি মহোদয়ের কাছে প্রেরণ করেননি। এ বিষয়ে হালুয়াঘাট উপজেলার চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ রথীন্দ্রনাথ সরকারকে বলেন ঠিক আছে ।আমি রাজি আছি বিচার করেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত উনি এমন কথাই বলেছেন যে রক্তের বদলে রক্ত দিতে হবে। রথীন্দ্রলা সরকারের সাফ কাওলা জমি থাকা সত্ত্বেও জমি অর্ধেক ভাগ করে দিয়ে দেওয়ার পর ও সে বলছে কেইস চলতে থাকবে।
জমি দিয়ে দিতে হবে জমি অর্ধেক দিয়ে দেওয়ার পরও হেলিম শেখ, হৃদয় শেখ, সুমন লাল সরকার, বিমল লাল সরকার গং পুরো জমি দখল করে ফেলেছে এবং কি রতি মাস্টারের বাড়ি অর্ধেক নিয়ে যেতে চাচ্ছে এবং তার পরিবারের উপর আক্রমণ করেছে বারবার ।ঘটনার সত্যতা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও পরিবারটি ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। উপজেলা চেয়ারম্যান সায়েম সাহেবের কাছে গেলে সে বলে সাবেক বি এন পির চ্যেয়ারম্যান হেলু খানের সাহেবের কাছে যান।
এভাবে কোন দায়িত্ববান ব্যক্তি আপস মীমাংসা করতে রাজি হচ্ছেননা। এ পরিবারটি ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন। সেই সাথে এলাকার দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ , আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মিলে ন্যায়বিচার প্রাপ্তির জন্য সাংবাদিক রাজন লাল সরকার ৯/ ১০ /২০৩০ রোজ সোমবার ময়মনসিং প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এই সম্মেলন তিনি ন্যায়বিচার ও সামাজিক স্থিতিশীলতা কামনা করেন। তিনি এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।