আমি যখন পিএইচডির শেষ পর্যায়ে তখন আমার কাছে খ্রিস্টান পাদ্রিরা আসতে শুরু করল। তারা মনে করল, একজন বিধর্মীকে ওদের ধর্মে নিয়ে গেলে ওদের জন্য সুবিধা।আমি দেখলাম, ওরা প্রচুর পড়াশোনা করে, জানে।
…আমি আমাদের প্রফেটকে হাইলাইট করার জন্য এক পাদ্রিকে বললাম যে,শোনো,আমাদের প্রফেট ছিলেন এমনই একজন মানুষ, তিনি যখন কারও সঙ্গে কথা বলতেন, তখন সরাসরি তার মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতেন।
তিনি যার সঙ্গে কথা বলতেন,তার দিকে ঘার ফিরিয়ে তাকিয়ে বলতেন না,তিনি পুরো বডিকে তার দিকে টার্ন করতেন,যাতে সে মনে করে তাকে ফুল অ্যাটেনশন দেওয়া হচ্ছে। শুনে পাদ্রি বললেন, দেখুন, স্পন্ডিলাইটিস বলে একটা ডিজিজ আছে যে ডিজিজে ঘাড়ের চামড়া শক্ত হয়ে যায়,আপনাদের প্রফেটের ছিল স্পন্ডিলাইটিস ডিজিজ।উনি ঘাড় ফেরাতে পারতেন না বলে পুরো শরীর অন্যের দিকে ফেরাতেন।
…তখন গড আমাকে হেল্প করল।তিনি সঙ্গে সঙ্গে আমাকে একটা লজিক দিয়ে দিলেন এবং লজিকটা আমার তাৎক্ষণিকভাবে আসা।… আমি বললাম, আপনার কথাটা ভুল।আমাদের নামাজ পড়ার একটা সিস্টেম আছে, সিস্টেমে মাথা ফেরাতে হয়।আমাদের প্রফেটের যদি স্পন্ডিলাইটিস ডিজিজ থাকত,তাহলে তিনি পুরো শরীর ফেরাতেন,উনি তো তা করেন না।
তার এই ডিজিজ ছিল না,তিনি যেটা করতেন তা শ্রদ্ধার জায়গা থেকে করতেন। তিনি আমার কাছে ক্ষমা পার্থনা করলেন এবং বললেন, তোমার লজিক খুব পরিষ্কার,আসলেই তো তোমরা নামাজের সময় দুই দিকে মাথা ফেরাও।
(তথ্য সুত্র এবং বিস্তারিত তথ্য- প্রকাশিকা-২৭ জুলাই ২০১২ সালে হুমায়ুন আহমেদ নিজের সম্পর্কে বলেছিলেন।)