রিফাত কান্তি সেন
রাজধানী শহর থেকে নদী পথে মাত্র তিন ঘন্টার দূরত্ব। নদীর দু’পাশের মনোরম সৌন্দর্যে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও আপনি মুগ্ধ হবেন। আর যারা নৌযানে চলতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন তাঁদের জন্য আশির্বাদ হয়ে ধরা দেবে যাত্রা। বলছিলাম ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরের কথা। দেশের রাজধানী যদি ঢাকা হয়, তবে ইলিশের রাজধানী চাঁদপুর।
চারদিকে নদী বেষ্টিত শহরটিকে আগলে রেখেছে তিন নদী। ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সম্ভাবনার শহর চাঁদপুর তাইতো নামেই নয়, গুণেও মুগ্ধতার আচড় কাটে।
জাদুর শহর যেমন ঢাকা তেমনি আবার মন খারাপের শহর ও ঢাকা। এখানে যেমন সুখ আছে আবার অসুখও মনের মাঝে ঘুরপাক খায় প্রতিনিয়ত। ইট-পাথরের এ শহরে তাই মাঝে মাঝে দম আটকে আসলে আর ছুটির দিনটিকে কাজে লাগাতে চাইলে স্বল্প সময়ের দূরত্বের যাত্রা হিসেবে আপনি চাঁদপুরকেই বেছে নিতে পারেন।
এছাড়া অন্য বিভাগের ভ্রমণ পিপাসুরাও ঘুরে যেতে পারেন। তাঁদের জন্যই আজ আমরা তুলে ধরছি ভিন্নভাবে চাঁদপুরকে। চলুন তাহলে লেখনির মাধ্যমে জানি চাঁদপুরকে…
চাঁদপুর এসে কী কী দেখবেন ও কিনবেন?
ইলিশের বাড়ি খ্যাত চাঁদপুর ইলিশের জন্য বিখ্যাত। এখানকার পর্যটন কেন্দ্রগুলোও দেখার মত। নদী বেষ্টিত জেলা হওয়ায় নদী পাড়ের হাওয়া খেতে ছুটে যেতে হবে বড় স্টেশন মোলহেডে। যেখানে দেখা মিলবে তিন নদীর মোহনা। পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া মিশেছে এক হয়ে। বড় স্টেশনে রয়েছে দেশের বৃহত্তম ইলিশের আড়ৎ। পাইকারি-খুচরা ইলিশ কিনতে পারবেন।
ভোজন রসিক বাঙালির রসগোল্লার স্বাদ নিতে যেতে হবে ফরিদগঞ্জে। সেখানে মিলবে আউয়ালের রসগোল্লা। মতলবের সু-স্বাদু খির। যা একবার খেলে বারবার খেতে মন চাইবে।
এছাড়া আটটি উপজেলায় রয়েছে বেশ কিছু নিদর্শন। যেমন রূপসা জমিদার বাড়ি, লোহাগড় মঠ, কড়ৈতলী জমিদার বাড়ি, হরিপুর জমিদার বাড়ি। হাজিগঞ্জ বড় মসজিদ অন্যতম ধর্মীয় স্থাপত্যশৈলি।
আথিতেয়তা কেমন চাঁদপুরের মানুষের?
চাঁদপুরের মানুষ নাকি চাঁদমুখ। লোকমুখে এমনটাই শোনা যায়। চাঁদমুখের মানুষের আথিতেয়তায় মুগ্ধ হবেন না এটাও কি কল্পনা করা যায়। হ্যাঁ ঠিক তাই। চাঁদপুরের মানুষ আপনাকে আথিতেয়তায় মুগ্ধ করে দিবে। এখানকার ফ্রেশ খাবার আর মানুষের হাসিমুখ দেখে আপনাকে মুগ্ধ হতেই হবে।
সবছেড়ে চাঁদপুরকে কেন পছন্দের তালিকায় রাখবেন?
কম সময়ে যারা ঘুরতে পছন্দ করেন তাঁদের কাছে চাঁদপুর পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। কেননা লঞ্চে করে এক চমৎকার ভ্রমণ উপভোগ করতে যাচ্ছেন আপনি। নদীর দু-পাশের প্রকৃতি হৃদয় নাড়িয়ে দিয়ে যায়। তাই দেড়ি না করে বন্ধের দিন ঘুরে আসুন চাঁদপুর।