রায়হান আহমেদ, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে লাখ লাখ ফুট বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী একটি চক্র। কোনোরকম সরকারি ইজারা ছাড়াই প্রকৃতি ও পরিবেশের ক্ষতি করে দীর্ঘদিন ধরে চলছে বালু তোলার মহোৎসব।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা অবৈধভাবে কাজটি করে যাচ্ছেন। এতে পানির প্রবাহে গতি পরিবর্তন হওয়ায় নদীর পাড় ভেঙে এলাকার ফসলি জমিসহ বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।
তবে বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার খাগডহর ইউনিয়নের বেগুন বাড়ীর বরিয়ান গ্রামের মোঃ শরিফ (৩৮), সাব্বির (৩০) মোক্তার হোসেন (৩০), সুমন ফকির (৩২) গং নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে ।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৭/০৯/২০২৩ ইং দুপুরে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার খাগডহর ইউনিয়নে বেগুন বাড়ি এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরবর্তী বেগুনবাড়ি গুদারাঘাট নামক স্থানে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু এবং বালু বিপণনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক ও একটি বেকু মেশিন লাল নিশান টাঙিয়ে জব্দ করা হয়। জব্দকৃত বালুর পরিমাণ ৫০ হাজার ঘনফুট। ঘটনার বিবরণে আরও জানা গেছে, অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত তাৎক্ষণিক কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে, ইজারাবিহীন ভাবে বালু উত্তোলন করে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১১ ধারা লঙ্গনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। যা মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর অধীন বিচার্য । পরে জব্দকৃত অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত ৫০০০০ ঘনফুট বালু এবং বালু বিপননের কাজে ব্যবহৃত দুটি ট্রাক ও একটি বেকু মেশিন বিধি মোতাবেক উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে স্পটে বিক্রয় করে বিক্রয়লব্ধ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করে খাগডহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বাদল, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা,মোহাম্মদ জবেদ আলী ও সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সহ এই তিনজনকে অত্রাদালতকে জানানোর নির্দেশ প্রদান করেন, ময়মনসিংহ সদর সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইয়াসিন খন্দকার। তবে স্হানীয় সচেতন মহল মনে করেন, অপরাধীরা অপরাধ করে যাতে,আইনের ফাঁকে বেড়িয়ে আসতে না পারে অন্যথায় নদী বাঁচানো সম্ভব নয়।