ধামরাই( ঢাকা) প্রতিনিধি:
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছোট দুই ভাই বড় ভাই জহিরুল ইসলাম(৬০) ও তার স্ত্রী রাজিয়া খাতুনকে(৫৬) বাড়ির ভিতর ডেকে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলামের ছেলে মারুফ হোসেন রুবেল বাদি হয়ে ধামরাই থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ( ১৪ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের গোপাল কৃষ্ণপুর এলাকায়।
অভিযুক্তরা হলেন- বদর উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিম(৪০) ও লাল মিয়া(৪৩)। রেজাউল করিমের স্ত্রী রোমা আক্তার(৩৮) এবং লাল মিয়ার স্ত্রী সুরিয়া আক্তার(৪০)।
ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম, বিবাধী রেজাউল করিম ও লাল মিয়া উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, জহিরুল ইসলামের সাথে তার আপন দুই ভাইয়ের দির্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। জহিরুল ইসলামের পৈতৃক সম্পত্তি ও তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোর পূর্বক তার আপন দুই ভাই রেজাউল করিম ও লাল মিয়ার নামে লিখে দেয়ার জন্য পায়তারা করে আসছিল। এ নিয়ে দির্ঘদিন ধরে তিন ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। গতকাল শনিবার(১৪ অক্টোবর) বিকেলে অপর দুই ভাই রেজাউল করিম ও লাল মিয়া পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ঘরের ভিতর মারধর করতে থাকে। ঘটনাটি জহিরুল ইসলামের স্ত্রী রাজিয়া খাতুন জানতে পেরে স্বামীকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে গেলে তাকে মেরে গুরুতর আহত করে। পরে জহিরুল ইসলামের ছেলে মারুফ হোসেন রুবেল বাবা ও মাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও মেরে রক্তাক্ত করে। তাদের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সন্তানকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে ভর্তি করেন। ভুক্তভোগীর ছেলে মারুফ হোসেন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হলেও তার বাবা মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে ভর্তি করা হয়েছে ওই হাসপাতালে। ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রাজিয়া খাতুন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভুক্তভোগী দুই জনকেই সুস্থ হতে কয়েক দিন সময় লাগবে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান ওই চিকিৎসক।
কি করে জহিরুল ইসলামের হাত কেটে গেছে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলামের ছেলে মারুফ হোসেন রুবেল বলেন, আমার বাবার সাথে দির্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। জোর করএ আমাদের জমি আমার দুই চাচার নামে লিখে দিতে বলে। না দেয়ার কারনে এর আগেও অনেক হুমকি দিয়েছেন।গতকাল বাবাকে ডেকে নিয়ে মারধর করে। পরে হাতে থাকা দা দিয়ে বাবাকে কোপ দিলে হাত দিয়ে থামাতে গিয়ে হাত কেটে গেছে। ৫ টি সেলাই দেয়া হয়েছে। আমার মাকেও তারা বেদম পিটিয়েছে। দুইজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে ধামরাই থানা একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
আসামি রেজাউল করিম ও লাল মিয়াকে বার বার মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, মারামারির একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।