বুধবার দুপুরে বিএনপির আটক নেতাকর্মীদের প্রিজনভ্যানে করে ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয় -ছবি সংগৃহিত
নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত ১৫ ঘণ্টায় দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। আটক নেতাকর্মীদের বেশির ভাগই বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় এসেছিলেন।
বিএনপির অভিযোগ, ঢাকার কাকরাইল, ফকিরাপুল, মালিবাগ ও ঢাকার প্রবেশপথ থেকে এসব নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তবে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানায়নি।
বুধবার দুপুরে বিএনপির আটক নেতাকর্মীদের অনেককে প্রিজনভ্যানে করে ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মতিঝিল বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনেককে আটক করা হয়েছে। তবে কতজনকে আটক করেছেন, সে হিসাব তারা এখনো করেননি।
ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. রাজীব আল মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করে ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করছে-এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলে অভিযান চালিয়ে অনেককে আটক করেছে ডিবি। গণনা শেষে আটক ব্যক্তির সংখ্যা বলা যাবে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আটকের সংখ্যা ১৫-২০ জনের মতো হবে।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি বলেন, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়ন থেকে ৫১ নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দিতে এলে তাদের ভোরের দিকে আটক করা হয়। এ ছাড়া ধনবাড়ি উপজেলা বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, প্রবাসীবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনসহ আটজনকে গতকাল রাতে পল্টন এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। গত ১৫ ঘণ্টায় মোট ২১৬ জন নেতাকর্মীকে আটক করার তথ্য তারা পেয়েছেন বলে জানান তিনি।