চাঁদপুর প্রতিনিধি॥ অকাল বোধনের মধ্যে দিয়ে দেবী মহামায়ার আগমন। মহাষষ্ঠীর তিথির কল্পারম্ভে বেলগাছের নিচে ধূপ-ধূনো আর ঘট স্থাপন করে দশভুজা দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আয়োজন। যদিও এর আগে মহালয়ার মধ্যে দিয়ে বাঙালি সনাতনী ধর্মালম্বীরা মেতে উঠেছে শারদ উৎসবে। শরতের এমন স্নিগ্ধক্ষণে মর্ত্যলোকে দেবী এসেছেন ঘোড়ায় চড়ে। কৈলাশেও ফিরবেন ঘোড়ায় চড়ে।
দেবী দুর্গার সঙ্গে মণ্ডপে মণ্ডপে অধিষ্ঠিত হয়েছেন লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী। সাথে আছে প্রত্যেকের নিজস্ব বাহন।
সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। পূজা-অর্চনা, ভক্তিমূলক সংগীতানুষ্ঠান, প্রসাদ বিতরণ, আরতিসহ নানা আয়োজনে মেতে উঠেছেন তারা।
আজ শনিবার দুর্গাপূজার মহাসপ্তমী। দেবীর আগমন পূর্বাহ্নের মধ্যে সপ্তমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রয়েছে অঞ্জলি প্রদান। নবপত্রিকা স্থাপন, কলাবউকে সিঁদুর দিয়ে সপরিবারে দেবী প্রতিমার ডান দিকে দাঁড় করিয়ে পূজা করা হয়। সপ্তমিতে এভাবেই প্রকৃতি আরাধনার মধ্যে দিয়ে শুরু মাতৃ বন্ধনার।
২২ অক্টোবর অষ্টমির প্রাকলগ্নে দেবী বরণে থাকবে মহা ঘটা। কুমারি রূপে পুঁজিত হবেন দেবী দুর্গা। সন্ধ্যায় থাকছে সন্ধিপূজা। অষ্টমী আর নবমীর সন্ধিক্ষণেই এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। শাস্ত্রমতে এ ক্ষনেই চামুন্ডা রূপ ধারণ করে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন দেবী দুর্গা। পুঁজোয় ব্যবহিত হয় এক’শ আটটি পদ্ম। জ্বালাতে হয় এক’শ আটটি প্রদীপও। মন্ডপগুলোতে তাই আগে থেকে নেয়া হয়েছে প্রস্তুতি।
এদিকে পূজার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন রাখতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে রয়েছে কঠোর নজরদারী। প্রতিটি মন্ডপে পুলিশের মোতায়েনের পাশাপশি স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা।