Site icon Daily Dhaka Press

বিএনপির মহাসমাবেশ : পুলিশ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে তাঁদের ঢাকা ও গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাজধানীতে গতকাল শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম পারভেজ (৩২) নিহত হন। এ ঘটনায় আজ সকালে পল্টন থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। এরপর দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হলো।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার দুজন হলেন—শামীম রেজা ও মো. সুলতান। শামীম গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার যুবদলের আহ্বায়ক। তাঁকে সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুলতানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঢাকার ডেমরা এলাকা থেকে।

নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলামের জানাজা রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে সেখানে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তার দুজন সরাসরি হত্যায় অংশ নেন। সিটি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁদের শনাক্ত করা হয়েছে।

শামীম রেজার ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন বলেন, তাঁকে ডিএমপির কাছে হস্তান্তর করা হবে। তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য ডিএমপির একটি দল গাইবান্ধার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে।

নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায়।

ঢাকায় সংঘর্ষে নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুলের বাড়িতে মাতম

বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলার সময় ফকিরাপুলের বক্সকালভার্ট রোড এলাকায় আমিরুল মাথায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরে এই সংঘর্ষ অন্য এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা তিনটার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।

বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে অন্তত ছয়টি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ান দলটির নেতা-কর্মীরা। এই সংঘর্ষে পুলিশের সদস্য আমিরুল ছাড়াও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম শামীম মিয়া। তিনি রাজধানীর মুগদা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

Exit mobile version