গাজীপুর সংবাদদাতা : মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে শ্রমিকদের আন্দোলনের মধ্যে গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া ও ঢাকার মিরপুরে প্রায় ২০০টি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছেন মালিকেরা। তাঁদের আশঙ্কা, কারখানা খোলা রাখলে শ্রমিকদের বিক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
রাজধানীর মিরপুরে গতকাল বুধবারও শ্রমিকেরা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সাভারে কিছু শ্রমিক বিক্ষোভে নেমেছিলেন। তবে গাজীপুরে পরিস্থিতি ছিল শান্ত।
এদিকে মালিকপক্ষ গতকাল নিম্নতম মজুরি বোর্ডকে জানিয়েছে, তাঁরা নতুন করে মজুরি প্রস্তাব দেবেন। আগের প্রস্তাব বাতিল হবে। নতুন প্রস্তাবে মজুরি বাড়িয়ে ধরা হবে, তবে তা কত হবে জানানো হয়নি।
মজুরি বোর্ডের সভাপতি লিয়াকত আলী মোল্লার সভাপতিত্বে বোর্ডের গতকালের সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মজুরি হার চূড়ান্ত হবে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরিকাঠামো বাস্তবায়িত হবে।
মজুরি বোর্ডে শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ভালো আলোচনা হয়েছে। মালিকপক্ষ আগের চেয়ে নমনীয় হয়েছে।’
অন্যদিকে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আগে যে প্রস্তাব দিয়েছিলাম, তা থেকে মজুরি বাড়বে। কত বাড়বে, তা মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সভায় জানাব।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মজুরি বোর্ডের সভা যখন চলছিল, তখন পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর উত্তরার কার্যালয়ে মালিকেরা বৈঠক করছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে কারখানা বন্ধ করা হলে সেটি হবে শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায়। এই ধারায় বলা হয়েছে, বেআইনি ধর্মঘটের কারণে মালিক কারখানা বন্ধ করতে পারবেন। এ রকম বন্ধের ক্ষেত্রে ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকেরা কোনো মজুরি পাবেন না।
প্রকাশক : মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তালুকদার
সম্পাদক : খান মোহাম্মদ সালেক
Copyright © 2025 Daily Dhaka Press. All rights reserved.