Site icon Daily Dhaka Press

গাছ কেটে ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গাছ কেটে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা ।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ছাত্রফ্রন্টের সদস্য মোস্তাফিজুর রাহমান এর সঞ্চালনায় গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের পিছনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে ছাত্রফ্রন্টের সদস্য সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘এই এলাকা জুড়ে বিপুল সংখ্যক গাছ কেটে ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। আমরা বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি বিভাগের আলাদা ভবন,ক্লাসরুম, সেমিনার থাকবে। কিন্তু আমরা কখনই চাই না বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস করে ভবন নির্মাণ করা হোক। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে ঢাকা শহর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, এই অপরিকল্পিত নগরায়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে এখানে পড়াশোনার পরিবেশ থাকবে না। তাই আমরা চাই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে মাষ্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ হোক।`

সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ধ্রুব বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পশুপাখির অভয়ারণ্য হিসেবে খ্যাত। কিন্তু উন্নয়নের নামে যেভাবে পরিবেশ ধ্বংস করে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে তা এখানের প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য হুমকিস্বরূপ। আমরা পরিকল্পিত ভাবে ভবন নির্মাণের আহ্বান জানাচ্ছি।`

ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, ‘প্রশাসন তাদের খায়েস মেটানোর জন্য গাছ কেটে ভবন নির্মাণ করেই যাচ্ছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি,আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে ইকোসিস্টেম ঠিক রেখে ভবন নির্মাণ করা হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকা আহসানউল্লাহ মজুমদার একজন স্থপতি, তিনি পরিকল্পনাবিদ না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো নির্মাণে সখ্যতার কারণে হোক আর অর্থনৈতিক প্রলোভনের কারণে হোক তিনি সেগুলো পাশ করিয়ে দেন। এখানে ৬০-৭০ এর বেশি গাছ কাটা হয়েছে। প্রশাসন তোপের মুখে পড়বে বলে পুজোর ছুটিতে লুকোচুরি করে গাছ কেটেছে। এই স্বেচ্ছাচারিতা চলতে থাকলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে আমরা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, ‘পুজোর ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চোরের মতো করে এখানের গাছগুলো কেটেছে। আমরা জানি প্রশাসনিক কাঠামোতে অর্থনৈতিক লেনদেন থাকে, অনিক ট্রেডার্স এর মতো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রশাসনের সাথে অর্থনৈতিক ষড়যন্ত্র করে অর্থের লেনদেন করে থাকে। প্রশাসন সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে রাতের অন্ধকারের চোরের মতো গাছ কাটে। যে গাছগুলো কাটা হয়েছে তা প্রশাসনের নজরদারির বাইরে নয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রশাসনের সাথে মিলে গাছ কেটে সেগুলো লোপাট করে ভাগ বাটোয়ারা করেছে। অর্থনৈতিক সুবিধা যেখানে আছে সে জায়গাগুলোতে প্রশাসন ভবন নির্মাণ করছে। ভূমিদস্যু, গাছখেকো এই প্রশাসন কোন মতেই শিক্ষার্থী বান্ধব প্রশাসন হতে পারেনা।

Exit mobile version